অস্থির সময়ে তোমাকে দেখি অবাক বিস্ময়ে।
তোমার উষ্ণ শ্বাসের কম্পনে দোলে উঠে পরিপূর্ণ যুগল পাহাড়।
খসে পড়ে রক্তিম শাড়ির আঁচল;
থরথর করে কাঁপে স্বচ্ছ কাঁচুলি।
বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে বুঝি টগবগে জলন্ত লাভা;
ঢালু বেয়ে নেমে যাবে কোন্ যমুনায়!
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে ভেসে যাবো আমি?
নাকি পুড়ে অঙ্গার হবো লাভার আগুনে!
ছাই হয়ে ঝড়ের বাতাসে উড়ে উড়ে আবার পৌঁছে যাবো তোমার খসে পড়া শাড়ির আঁচলে।
নতুন রূপে হবে পরিচয়।


এতো উষ্ণতা এতো তাপ করিনি অনুভব জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড দাবদাহে।
নিঃশ্বাসের এতো তেজ দেখিনি ঝড়ের মাতমে।
কি আছে তোমার বুকে, সুন্দরী?
শুধুই রূপের মেলবন্ধন তৃষ্ণার সাথে?
অনিন্দ ভালো লাগার মোহ, ভালোবাসা কিংবা প্রেমের আকুতি নেই কি সেখানে!
অন্ধকারে কান পেতে দূরের বাদ্য শোনার কোনো অনুভূতি!
অন্তরের মাঝে  অন্তরের বিলীন হওয়ার কোনো অনুরাগ!
আছে কি?


রচনাকাল: ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯