মোহাচ্ছন্ন হয়েছিলে বুঝি!
বুঝতে পারোনি কেমন হয় ভালোবাসার রকমফের!
মনের ভিতরে তোলপাড় করেছিলো প্রেমতৃষ্ণা,
নাকি আদিম প্রবৃত্তি তুলেছিলো ঢেউ পিনোন্নত বুকে?
ছটফট করেছিলে কামনার উদগ্র জ্বালায়?
শরীরে কাঁপন ধরেছিলো পৌরুষের সান্নিধ্য পেতে;
মেতে উঠেছিলে কামলীলার ছলাকলায়।
প্রলুব্ধ করেছিলে আমাকে দৃষ্টির মায়াবী ছলনায়।


মনের মাধুরী মিশিয়ে তোমাকে করেছি কল্পনা।
কোনো অপ্সরী যেনো আমার হৃদয়ে নেমে এসেছিলো রানী হয়ে।
বসেছিলে পাশে, অতঃপর মুখোমুখি।
তোমার চোখের ভাষা পড়তে পারিনি আমি,
দ্বিধায় ছিলাম ক্ষণকাল।
সুডৌল দুবাহুতে টেনে নিয়েছিলে পরম মমতায়;
জড়িয়ে নিয়েছিলে আপাদমস্তক।
দুটি নদী মিশেছিলো এক বাঁকে।
উষ্ণ ক্ষীরের ধারা দিয়েছি উজাড় করে তোমার আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে; জ্বলে পুড়ে হয়ে গেছে খাক।


চৈতন্য এসেছে তোমার দুদিন বাদেই।
তীব্র আঘাতে আঘাতে আমাকে জর্জরিত করলে;
অবশেষে ফেলে দিলে বিস্মৃতির বালুকাবেলায়।
সমুদ্রের গর্জন আর তীরভাঙ্গা ঢেউয়ের আস্ফালন
দেখে দেখেই আমার সময় কাটছে এখন।
ভাটির টানে ভেসে ভেসে কতোদূর যাবো আর!
মোহমুক্ত তুমি আজ, দ্বিধাহীন।


রচনাকাল: ঢাকা,১৭ জানুয়ারি ২০১৯