এতো সুন্দর কেনো তুমি !
আপেলের মতো দুটো গাল, টোল পড়ে হাসো যখন।
কমলালেবুর কোয়ার মতো ঠোঁট, শিহরণ জাগায় ঠোঁটে।
ময়ুরীর চোখের মতো ডাগর দুখানি চোখ তোমার।
সাগরের ঢেউ তোমার এলোচুলে এসে পাঁক খায়।
সুডৌল বাহু বানিয়েছে কোনো মৃৎশিল্পী;
এতোটা মসৃণ হতে পারে ভাবিনি কখনো, অথচ ছুঁয়ে দেখি বারবার।
চঞ্চলা হরিণীর গ্রীবা পেয়েছো তুমি।
বুকে যেনো নিখাদ পাহাড়ের সৌন্দর্য, মাঝখানে বহতা নদী।
নাভিমুলে কী দেখেছি কিছুই ভাসে না চোখে, বোধকরি কস্তুরী।
ঊরুসন্ধিতে এ কোন্ কারুকার্য, বয়ে চলা ঝরনার বাঁক যেন।
আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের প্রচন্ড উত্তাপ যেনো গিরিখাঁজে।
সমুদ্রের বেলাভুমিতে যখন পদ্মপাতার মতো পা দুখানি রাখো,
কোথায় হারিয়ে যাই নিজেই জানি না।
তোমার এতো এতো ঐশ্বর্য কোথায় লুকিয়ে রাখি!
তুমি অন্ধকারেই রয়ে যাও, আলোয় এসো না।
আমি তোমাকে বুকে জড়িয়ে অনুভব করতে চাই।
তোমার হৃদয়কে স্পর্শ করতে চাই হৃদয় দিয়ে।
ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে চাই।
পেতে চাই অনন্ত ভালোবাসা।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯