পথে হেঁটে হেঁটে আমি ক্লান্ত,
বিভ্রান্ত;
অলীক কল্পনায়
দিন যায়, রাত যায়!


নিশ্বাসে,
বিশ্বাসে
একটিই চাঁদমুখ।
দুঃখ আর সুখ,
একসাথে
দিনে-রাতে
আমার জীবনে জড়িয়ে থাকে।
তাকে
না দেখেছি,
না পেয়েছি
কাছে;
তবু,পাছে
হারিয়ে যায়,
সেই ভাবনায়
উচাটন
আমার মন।


অনুক্ষণ তার জন্যে
কী লোকালয়ে, কী অরণ্যে
করেছি বিচরণ;
মধুমাখা হিরন্ময় ক্ষণ
এখনো এলো না!
গেলো না
ক্লান্তি বলিরেখা হতে;
আচম্বিতে পথে
যদি তার দেখা পাই,
সেই আশা বুকে নিয়ে আমি হেঁটে যাই।


ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়ি কখনো কখনো;
তাকে ভুলি না তখনো।
সে স্বপ্নের রানী হয়ে আসে;
ভালোবাসে
আমারও অধিক।
চিকচিক
করে তার প্রেমার্ত চিবুক।
থরোথরো কম্পমান পীনোন্নত বুক
আমার বুকের উপরে রাখে;
নিথর নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে থাকে
আমাকে জড়িয়ে ধরে।
থরে থরে
লাল গোলাপের পাঁপড়িই যেনো আমার চারপাশে;
সে খিলখিল করে হাসে।


আমিও তৃষ্ণার্ত চোখে তাকে দেখি;
ভাবি, আসল না মেকি
তার সেই লীলাখেলা!
অবহেলা
সে করে না আমাকে;
উষ্ণ আলিঙ্গনপাশে ধরে রাখি তাকে।


সহসাই ঘুম ভেঙে যায়;
স্বপ্নের মাঝে রেখে যাওয়া তার ভালোবাসায়
নিজেকে ডুবিয়ে রাখি।
একাকী
তারই সন্ধানে আবারও হেঁটে চলি আঁকাবাঁকা মেঠোপথে
কিংবা উঁচুনিচু পাহাড়ে পর্বতে।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২।