এক রাতজাগা পাখি ডানা ঝাপটায়।
কোনো গাছের ডালে বসে আছে নাকি মাটিতে পড়ে আছে
ঠাহর করতে পারি না।
বারান্দায় দাঁড়াই।
অন্ধকারে দেখতে পাই না।
শব্দ শুনি।
চারদিক নিস্তব্ধ।
মুখ থেকে এক ধরনের শব্দ বেরুচ্ছে।
অনেকটা মানুষের ফিসফিসিয়ে কথা বলার মতো।
এতো রাত অব্দি আমিও জেগে আছি।
শরীরে কুলোচ্ছে না-তন্দ্রাচ্ছন্ন।
চোখে ঘুম নেই-ঢুলোঢুলো।
পাখিটাকে খুব কাছের মনে হলো।
আমার মতোই কি ওরও খুব কষ্ট?
মনে অথবা শরীরে যন্ত্রণা?
মনকে মানানো যায়।
শরীরকে কদাচিত।
রাত যতো গভীর হয়
শরীর উষ্ণতা খোঁজে।
মন কি চায়? হাহাকারে ভরা।
কোন কিছু দিয়েই তাকে সামলানো যায় না।
শরীর পিপাসা মিটাতে চায়
যা কিছু হোক তা জল অথবা গরল না বুঝেই।
মন আর শরীরের দ্বৈরথে আমি ক্লান্ত।
শরীর পরাজয় মানে।
মন মানে না।
আমি ছটফট করতে থাকি বিছানায়।
কেউ উষ্ণতা দিতে এলে শরীর তা লুফে নেয়।
মন মানতে চায় না।
দগ্ধ হয়।
আমি ওই পাখিটার মতো কাতরাতে থাকি।
বিড়বিড় করে কিছু একটা বলি।
আমার ডানা নেই।
ডানা ঝাপটানিও নেই।
তাই কেউ বুঝতে পারে না।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৫ অক্টোবর ২০১৮