'রুচি' নিয়ে চলছে এখন তুলকালামি কান্ড;
লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়, খালি সকল ভান্ড।
পিঁপড়া কেনো গুড় খাবে, ভাই, ওটা কি তার খাদ্য?
আমরা হলাম মানব জাতি, বাজাই নানান বাদ্য।
গুড়ের পিঠা-পায়েস খাবো আয়েশ করে আমরা;
পিঁপড়া যদি আবার আসে খুলেই নেবো চামড়া।


রুচির ঘরে ঢুকলো কি রে নাওঢুলানো পাগলা;
সংস্কৃতির রঙমহলের গিট্টু হলো আগলা।
যেমনে খুশি সাজবে নাকি রঙ মেখে ঐ নেংটা;
সাগরপাড়ে ঘুরতে আসে ঘরের কুনোব্যাঙটা।
রুচির বুকে পাড়া দিয়ে খেল্ দেখালো নিঃস্ব;
রুচির বড়ই আকাল বলেই সাব্বাস দেয় বিশ্ব।


যেমনে খুশি নাচলে হলো, নাচের আছে মুদ্রা;
ডেকচিভরা ভাত হতে চায় 'চাল' থাকিতে 'খুদ'রা?
'খুদের জাও' খাকগে্ গরীব, রিক্সাঅলা, কামলা;
চিকন চালের পোলাও খাবে অভিজাত আর আমলা।
নাচতে নেমে উঠানখানা করছে যারা নষ্ট;
তাদের রুচি নেই যে মোটেও, তারা তো পথভ্রষ্ট।


রচনাকাল: ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৩।