কী এক উন্মাদনা করেছে ভর
আমার উপর!
প্রতি রাতে সময় মেপে যায় দেয়ালের ঘড়ি।
আমি ফেসবুকের পাতায় নেকড়ের মতোন হামলে পড়ি।
নেটে
প্রিয়তমা মানুষটির প্রোফাইল ঘেঁটে ঘেঁটে,
গন্ধ শুঁকে শুঁকে এগিয়ে যাই রোমান্সের সন্ধানে,
যার নেই কোনো মানে,
কবে কোন্ কুক্ষণে কার
চোখ পড়েছিলো তার
ছবির শরীরে!
দেখি চিরে চিরে
প্রতিটি কমেন্টস্ আর লাইকের হৃদপিন্ডের শিরা উপশিরা।
প্রেমের মদিরা
কোনোকালে কেউ ঢেলে দিয়েছিলো কিনা আমার বধুঁয়ার কল্পিত নগ্ন গতরে।
তারপর যা যা হয়ে থাকে, করেছিলো কিনা তাকে একা পেয়ে জোর করে
অথবা সম্মতিতে তার।
ফেসবুকের দেয়ালের এসব ভুল কিংবা শুদ্ধ পাঠোদ্ধার
আমাকে করেছে বিদ্ধ প্রতিদিন প্রতিরাতে সময়ে অসময়ে।
দগ্ধ হয়েছি আমি; বারংবার আমার হৃদয়ে
বয়ে গেছে ঝড়।
অচেনা মানুষের উপর
বেড়েছে আক্রোশ।
আফসোস্!
সন্দেহের তীর
ভেদ করে গেছে আমার বিশ্বাসের প্রাচীর।


বিশ্বাসহীন ভালোবাসা!
মনকে বুঝাই, 'এসব অলীক তামাশা।
ভুলে যাও, ভুলে যাও অন্যদের কথা;
তাদের বারতা।
নিজের মধ্যে থাকো আত্মমগ্ন হয়ে,
প্রেমিকারে লয়ে।
সেও তো হতে পারে অন্য লোকের
ক্ষণিকের
মোহের শিকার;
অথবা তুচ্ছ বিকার
তোমার হৃদয়েশ্বরীর!
হয়ো না অস্থির।'


ছুটে চলে ঘড়ি; আবার রাত্রি নামে।
প্রিয়তমার অন্য কোনো প্রেমিকের খোঁজে আমার সন্দেহের তীর ফেসবুকে গিয়ে থামে!


রচনাকাল: ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০১৯।