আমার ভালোবাসার হিংস্ররূপ তুমি দেখোনি;
দেখোনি আগ্নেয়গিরির গলিত লাভার দ্রুত ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া।
আমার শৃঙ্গারে শৃঙ্গারে এভারেস্ট শৃঙ্গের সমস্ত জমাট বরফ গলে উন্মত্ত স্রোতের ধারায় ভাসিয়ে দেবে সমতট;
মেঘমালা হারিয়ে যাবে প্রবল বর্ষণে, ডুবে যাবে প্লাবনভূমি।  


রক্তচক্ষু রাক্ষসের লোমশ দেহ ঝাঁপিয়ে পড়বে তোমার নগ্ন বক্ষে;
কামড়ে কামড়ে থেতলে দেবে কাঞ্চনজঙ্ঘার অহংকারের স্তুপ।
ক্ষুধার্ত মাছরাঙার মতো ঠোঁটে গেঁথে নেবে প্রচণ্ড আবেগে;
ভেঙে চুরমার করে দেবে নদীর দুকূল।


বঙ্গোপসাগরের অতল মহীখাদে ডুব দেবে ভয়ংকর ক্রুদ্ধ হাঙর;
শান্তির বার্তা পাঠাবে তোমার অহংকার।
হে ঋতুবতী নারী, তুমি রক্তের অক্ষরে অক্ষরে লিখবে ভালোবাসার শপথবাক্য;
আদিম উল্লাসের শেষে আমার শরীর ঘেমে কর্দমাক্ত হয়ে থেমে যাবে অতঃপর।


রচনাকাল: ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩।