হৃদয়পুর কতো দূর তোমার শরীর থেকে;
কোথায় লুকিয়ে রাখো জনশূন্য সে বিরানভূমি?
তোমার চোখের কোনায় কিছুটা বিদ্যুৎ খেলে;
জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠে সেই চোখ ক্ষণিক সময়।
আবার হারিয়ে যায় সেই দ্যুতি;
সমুদ্রের উথাল পাথারে।
গভীর অন্ধকার রাতে আমার অন্ধ চোখের সামনে খেলা করে;
তোমার সেই ক্ষণিকের দ্যুতি বিজলির চমকের মতো।


সবুজ বৃক্ষরাজি কিংবা নীলাভ ফুলের বাগান;
হৃদয়পুরের কোথায় রেখেছো যত্ন করে!
সকাল-সন্ধ্যায় পানি ঢালে বনমালী;
তোমার আদেশনির্দেশ মেনে অথবা ভালোবেসে ফুল-ফল-পাতা।
আমার দৃষ্টিভ্রম কিংবা অন্ধত্বের কারণেও হতে পারে;
কিছুই দেখি না আমি।
অথচ তোমার হৃদয়পুরের অন্তঃপুরে যেতে চাই;
বিশ্রাম নিতে চাই তরুর ছায়ায়।


হাতের আঙুলে ছুঁয়ে তোমার শরীর;  
হৃদয়পুরের অস্তিত্ব করি অনুভব।
শরীরে খুঁজে পাই শুধুই উষ্ণতা;
সিদ্ধ হয়ে যায় আমার সব ভালোবাসা আলু কিংবা পটলের মতো।
হৃদয়পুরের প্রসন্ন প্রশান্তি কোথায় লুকিয়ে রাখো তুমি;
শরীরের কোন্ গোপন কুঠুরিতে?
তোমার শরীরের সর্বত্র ঘুরে আমার দুহাত ক্লান্তি নিয়ে ফিরে যায় ঘরে;
তোমার হৃদয়পুরের পায় না সন্ধান।


রচনাকাল: ঢাকা, ১১ মার্চ ২০২৩।