উড়নচন্ডী
নিজের গণ্ডী
নিজেই ভেঙে করে খানখান।
ভাঙে আসমান,
জমিন কাঁপায়;
সাগরে ঝাঁপায়
পাগলের মতো।
যতো
মান অভিমান নিজেরই উপর;
তোলে ঝড়
চায়ের কাপে।
তাপে অনুতাপে
কাটে দিন, কাটে রাত;
আসে না প্রভাত
আনন্দ নিয়ে। জীবনে কখনো পায় নাতো সুখ;
অসুখ-বিসুখ
বছর জুড়েই। স্মৃতি বিস্মৃতি
নিতিই শোনায় বিরহের গীতি।
পৃথিবীতে তার
নেই অধিকার
কারোরই উপর।
কে আপন, কে পর!
ভালোবাসে কাকে?
তাকে
ভালো বেসেছিলো কেউ?
হতাশার ঢেউ
হৃদয় ভাঙে,
যেমন বরষায় ভাঙে তীর ভরা গাঙে।
আসে না শরত, আসে না হেমন্ত;
তার জীবনে তো ফেরারী বসন্ত!
শীতকালে কাঁপে শৈত্যপ্রবাহে;
জ্বলেপুড়ে খাক গ্রীষ্মের তাপদাহে।


তবুও বয়ে চলে একাকী জীবন
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ।


রচনাকাল: ঢাকা, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০