'ভেজাল ভেজাল' বলে বলে নিচ্ছো মাথায় টেনশন;
কোন্ জিনিসটা ভেজাল ছাড়া, করতে পারো মেনশন!
ভেজাল তেলের ভেজাল গুড়ের জিলিপিটাও পেঁচালো;
কথামালার কথাও ভেজাল, মিষ্টি কথা-ক্যাঁচালও।


ভেজাল দুধের ফিরনি পায়েস, পাটিসাপ্টা পিঠাটাও;
ভেজাল আমের আমসত্ত্ব, নলেন গুড়ের মিঠাটাও।
ভেজাল এখন ভালোবাসায়, ভেজাল চোখের পানিও;
ভেজাল চিকেন বিফ মাটন আর মানিব্যাগের মানিও।


ভেজাল কাঠের খাটপালঙ্ক ঘুনেপোকার আস্তানা;
ভেজাল গানের ভেজাল সুরে মাথা দোলায় মাস্তানা।    
ভেজাল বাতাস, ভেজাল থাকে পরচুলাটার চুলটায়;
রাজনীতিতেও ভেজাল মানুষ, ভোটের বাক্স উল্টায়।


যায় না চেনা কোনটা ভেজাল, কোনটা ভেজালমুক্ত;
ভেজাল খেয়ে ভেজাল পেয়ে আমরা এখন পোক্ত।
নেই তো মাটি পায়ের নীচে, বসার কাঠের পিঁড়িটা;
সবার চোখে ভাসছে কেবল উপরে উঠার সিঁড়িটা!


রচনাকাল: ঢাকা, ১৫ এপ্রিল ২০২২।