ভোরের যে আলো ছুঁয়েছে তনু
বাংলাদেশী মোরা হইনি নতজানু,
বীরের বেশে লড়েছি মোরা
করেছি দেশ স্বাধীন।।
সে রাত টি যেন শেষ হতে চায় না।
২৫ তারিখ দিবা গত রাত,দেড় টার দিকে
ঘোষণা হয় বিদ্রোহের,মেজর জিয়া বলছি-
ঘোষণা হয় স্বাধীনতা,২৬শে মার্চ পেয়েছি।
প্রানে শক্তি,চোখে দীপ্ত আলো,সকল সৈনিক সেনা
এই স্বাধীনতা লাখো শহীদের রক্তে কেনা,
বাংলা মায়ের দামাল তোরা,রেখেছো মায়ের মান
শহর ছেড়ে কালুর ঘাটে,করেছ শক্ত অবস্থান।
স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া,২৭ মার্চ সন্ধ্যায়
মুক্তির বানী শুনেছে দেশবাসী,জেনেছে সারা দুনিয়ায়।
২৮ মার্চ,উদার জিয়া সংশোধনী দেন
সবার নেতা শেখ মুজিব,স্বাধীন বার্তা পাঠান।
স্বাধীনতার ঘোষক কে? এই নিয়ে কত কথা
হয়তো মুজিব নয়তো জিয়া,কিংবা তরু-লতা।
বাংলা মায়ের বুকের মাঝে সবার অবস্থান
মায়ের জন্য লড়েছে সবাই,হয়েছে অন্ত দান।
বাংলার হিন্দু,বাংলার মুসলমান,বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান
সবার দেহে বইছে লহু,কি তার ব্যবধান।
যে স্বাধীনতার স্বাধ খুঁজছি দারে-দারে
পেয়েছি যা আজ অবধি,কেন হারাবো বারে-বারে?
আজ স্বাধীনতা যেন দলে দলে বিভক্ত
লাখো শহীদের আত্মদান,হয়েছে আজ রিক্ত
নতুনের গানে,প্রানের টানে এসো আজ বলি
এই বাংলা গড়বো নতুন করে,ধর্ম বিশ্বাস যে যার মেনে চলি।
আমার ধর্ম,আমার কাছে বড়,অন্য ধর্ম না মানি
প্রান হীন আত্মা তুমি,তুমি মৃত।তুমি আরো কি?না জানি!
জানো তুমি তোমার ধর্ম আগে,করোনা ধর্মে ব্যবধান
করোনা তোমরা বিভেদ,তুমি পাকিস্তানী আমি হিন্দুস্থান।
আমি এ বাংলার দামাল ছেলে,বাংলা আমার বুলি
এই বাংলা প্রান আমার,বাংলায় কথা বলি।।