ভিন দেশী এক পাখি ছিল
ধরার কোন পুরে,
বাক হারা সে পাখির কন্ঠ
সুর ছিলনা স্বরে।


দিবা নিশি মর্মে তাহার
বহ্নি জ্বলত নিতি,
সর্ব পাখি লাফায় উড়ে
গেয়ে নানান গীতি।
ফুটতো যদি আননে তাহার
কখনো হাসি ভুলে,
সর্ব পাখি টুটে দিত
বোবা পাখি বলে।


একদা সে ক্লিষ্ট মর্মে
ভাবছে অক্ষি লোরে,
আসত যদি একটি বাণী
তাহার নিরব স্বরে।
আরও ভাবছে হারাবে সে
অচেনা নির্জনে,
সহসা একটি পাখির ঝাক সে
দেখল সুদূর পাণে,
ক্রমেই তাহার নিকটে এল
পাখির দলটি অতি,
"মোদের সঙ্গে যাবে বঙ্গে?"
তারে বললো দলপতি।


বঙ্গ কোথায় চিনেনা সে
ভেবে মনে মনে,
নীল নভেতে মেললো ডানা
সর্ব পাখি সনে।
উড়ে উড়ে তাহারা
এলো মোদের বঙ্গ পুরী,
সে বিনে সর্বে বললো ,
" আহ! কি রূপ মরি!"


বোবা পাখির খোলা আখি,
দৃষ্টি নির্বিকার,
বঙ্গ রূপালেখ্য মায়ায়
জুড়ালো প্রাণ তাহার!
" একি দেশ না মাতৃক্রোড়ে
নাকি স্বর্গেরই প্রান্তে,
এলুম মোরা !" বললো সে
নিজের অজান্তে।
পরক্ষণেই সর্বে অবাক,
অবাক অতি সে,
বোবা স্বরে ফুটলো বাণী
বঙ্গতে এসে।
সর্বে বললো, "জয় বঙ্গ, জয় বঙ্গ
ধন্য এ বঙ্গ ভূমি"
সর্ব পাখি এঁকে দিল
বঙ্গপদে চুমি।


বঙ্গ আমার মা, মাতৃরুপে
ডাকে বোবা পাখি,
ওরে ধন্য জন্ম ধন্য আমি
বঙ্গেরে মা ডাকি।