দুঃখ কি নদী?
নাকি সে এক স্থবির দীঘি—
চোখের পাড়ে পাড়ে নেই ঢেউ ,
তবু গভীরে গর্জে ওঠে নিঃশব্দ জলোচ্ছ্বাস।

আমি তাকে সযত্নে রাখি,
শব্দের আগে, ভাষার পরে—
যেখানে কণ্ঠ হারিয়ে ফেলে পথ,
আর ঝরে না অশ্রুজল কোনো ব্যাকরণে।

লোকেরা বলে—“বলেই ফেলো”,
কিন্তু বোঝে না তারা,
দুঃখ একবার বাইরে এলে
সে আর ফেরে না  নিজ ঘরে।

সে তখন জনসমক্ষে জাদুঘর হয়,
প্রদর্শিত হয় ব্যথা,
হৃদয়ের ভেতর যা ছিল বেদনা,
লোকে তাতে খোঁজে উপাখ্যান।

আমি  শিখেছি তাই—
নিজের রক্তে লিখতে বিষাদলিপি,
পড়বে না কেউ তা, জানবে না কেউ তা,
তবু প্রতিটি অক্ষরে থাকব আমি,
আমার না বলা সমস্ত আর্তি নিয়ে।

জানো, দুঃখ যখন নির্বাক থাকে,
তখনই সে সবচেয়ে বেশি কবি হয়।
শব্দ পায় না, তবু লিখে ফেলে
একটি কবিতা—
যার পাঠক শুধু আমি, আর ঈশ্বর।