এই নশ্বর পৃথিবীর সবকিছুই এমন,  
এমনকি আমাদের জীবনটাও তাই, চাতকের জীবন।
কখনো কখনো খুব যত্ন সত্ত্বেও আমরা হেরে যাই,
কখনো নিজের কাছে কখনোবা অন্যের কাছে।

নীরবতার পায়ে হাঁটে কিছু ঋতু, যাদের নাম নেই ক্যালেন্ডারে,
আর কিছু বিকেল, পকেটের পুরনো চিঠির মতো—থেকে যায়, ফিরে আসে না।
জলছবির মতো কিছু মুহূর্ত, স্পর্শ করেই মুছে যায়,
আঙুল ছুঁয়ে গেলেও ধরা দেয় না—একটা ভেজা অভিমানের মতো।

কখনো টলমলে আলোয় ঘুমিয়ে থাকে প্রত্যাশা,
আবার কখনো ছেঁড়া ঘুড়ির মতো হারিয়ে যায়, ঠিক দিগন্ত ছোঁয়ার আগমুহূর্তে।
তারপরও প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ঠিক আগের নিয়মে—
যেন কিছুই হয়নি, যেন সবকিছু এখনও সম্ভব।

শব্দহীন কিছু দিন আসে, কুয়াশার মতো গায়ে জড়ায়,
তাদের কোন অভিযোগ নেই, শুধু একঘেয়ে নীরবতা বয়ে আনে।
মনে হয়, সময়টা যেন একটা বন্ধ দরজা—
যেখানে কড়া নাড়লেও কেউ খোলে না ভেতরের খিড়কি।

অপেক্ষা জমে থাকে চাবির নিচে রাখা একটা পুরনো চিঠির মতো,
যার প্রাপক কখনো আসে না ফিরে, শুধু ঠিকানা বেঁচে থাকে দেয়ালে।
জীবন হয়তো একটা অসমাপ্ত চিত্রকর্ম—
যেখানে কিছু রঙ চেনা, আর কিছু চিরকাল অপূর্ণ রয়ে যায়।