কী অপার অলক্ষ্য ডাকে, কোন্‌ দৈব ইঙ্গিতে,
বৃক্ষমূল রূপে বসিয়াছিলে মোর স্নিগ্ধ চিত্তে।
তব ছায়ার শীতল শোভায় জাগি উঠিত প্রাণ,
তবু কেন বিজলী হয়ে মিলাইলে ক্ষণকাল?

তুমি ছিলে পুষ্পসম, মৃদু হাসির উচ্ছ্বাস,
তব বাক্যে বাজিত সুর, মোহিত হৃদি-আবাস।
কোন্‌ অনির্দেশ বায়ু টানিল তব শিঁড়িপথ,
বিজলীর কিরণে মিলাইলে, ফেলে মোরে ক্লান্তমত।

ছিল মাটির গভীরে মোর স্থৈর্যের আশ্রয়,
তুমি ছিলে তৃণসম, দিতেছিলে মৃদু দোলায়।
হঠাৎ ভঙ্গিল সে স্বপ্ন , গগন হইলো ধূসর,
তব বিস্মৃতিতে হৃদয় রইল শূন্য, ব্যথার ভার।

হে প্রিয়, তুমি গেলে, রইল কেবল ছায়া,
দেহবক্ষ গাঁথিয়া রইল এক রহস্যময় মায়া।
বৃক্ষমূল রূপে বসে আছি, স্মৃতির শিখরে ঘেরা,
বিজলীর ঝলকে হারাইলে, মোর সকল সুখের সীমানা।