শারদ প্রাতে সূর্যকিরণ ঝিলিক দিয়ে উঠে,
শুভ্র মেঘের ভেলারা সব এদিক ওদিক ছোটে।
রাজহংসটা যায় যে উড়ে সফেদ ডানা মেলে,
আশে পাশের কাশের বনটা নাচে হেলে দোলে।


প্রজাপতি ঝাঁকে ঝঁকে, শিউলি ফুলের সুভাস নিতে
দিচ্ছে চুমু ফুলে ফুলে, করছে পিরীত সবার সাথে।
ঘাস ফড়িংটা চুপটি করে বসে আছে সজীব ঘাসে,
হালকা বায়ে বারে বারে সবই যেন হাওয়ায় ভাসে।


মুক্তা দানা শিশির কণা দূর্বাদলের সবুজ গায়,
প্রভাত কালে দিচ্ছে হাসি বিজলী যে চমকায়।                          
বলছে মনে বারে বারে হীরে তো কোন ছার,
দেখলে মোরে হীরক সোনা ভজবে যে আবার।


নদীর ধারে রাখাল তোলে মাতাল করা বাঁশির সুর,
উতাল মনে জোয়ার আনে শরতের এই রাঙা ভোর।
রুপের যে এই করুকাজটি কোথায় তুমি পাবে ভাই?
শরৎ শুধু বাংলা মায়ের এমন যে আর কোথাও নাই।