একটা ছাই কালারের ফরমাল প্যান্ট
আর কালো রঙের হাফহাতা টি-শার্ট
দুহাত ছড়িয়ে, বৃক চিতিয়ে দাঁড়ায় এসে
কাকতাড়ুয়া হয়ে।
রাজপথে শব্দ কাঁপানো বাতাস।
ঠিল-পাটকেল, কাঁদানে গ্যাস, ঠুস- ঠাস ।

যে দেশে রয়েছে শতবর্ষী শকুন  তাড়ানো ইতিহাস।
সে দেশেই, কাকতাড়ানোর দ্বায়িত্ব নিয়ে,
রাজপথে দাঁড়ায় এসে কাকতাড়ুয়া ছাত্রসমাজ।

কোটা তুলে দাও/ তুলে দিও না/
সংস্কার কর/ সংস্কার করো না ।
যতজন ততমত, যতমত ততপথ ।
স্বাধীনতার এইতো ধারা, এইতো শপথ।

তবে কেন রাজপথে এখনো ৫২নেমে আসে?
তবে কেন ছাত্রের বুকে এখনো গেঁথে
যায় পুলিশি বুলেট?

আমি স্বাধীনতার কথা বলি,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলি।
সরকার-
যে কিনা আমাদেরই কর্মচারী,
তার ভালো কাজকে ভালো
আর মন্দকে মন্দ বলি।

স্বাথীনতা প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযোদ্ধায়
কোন আপোস নাই-
কিন্তু তা বলে আমরা জনগন
কাউকে মানুষ মারার  লাইসেন্স তো দেই নাই।

জামার পয়শায় অস্ত্র কিনেছি,
সে অস্ত্র ব্যবহার হয় আমারই মানুষের বুকে ।
এ কথা শুনেছি প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর মুখে।

এখন ২০২৪, পাকিস্তান নয়,
আমার রয়েছি স্বাধীন দেশের বুকে।
কোন সাহসে হৃদয়ে পুলিশ বুলেট দিল ঠুকে।

কার কি দাবী?
ন্যায্য নাকি অন্যায্য, জানিনা।
স্বাধীন দেশে শতমত থাকবে,
পরাভব মানি না।

১৬ জুলাই,
এক উদ্দীপ্ত মিছিলের আগে
ছাইরঙা প্যান্ট আর কালো টি-শার্ট মোড়ানো
এক কাকতাড়ুয়া,
বুক চিতিয়ে রাজপথে দাঁড়ায় তার মতামত
প্রকাশের দাবীতে।

জনতার টাকায় কেনা বুলেটে তার
বুক চীড়ে দেবার আগে একবারও কি
কেঁপে ওঠেনি হন্তারকের বুক?
ভাবেনি কি বঙ্গবন্ধুর কথা, জনতার সূখ।
ভাবেনি কি টি- শার্টের ভেতরে রয়েছে
এক বিশুদ্ধ প্রাণ,
আবু সাঈদ- জীবন্ত মানুষ ।

কাকতাড়ূয়া
         -  শাহাদাৎ শুক্ল
রচনাকাল- ১৭জুলাই, ২০২৪