পুড়ে গেছে চামড়ার ভেতর-বাহির আর আরো গভীরে পুড়িয়েছো অলিন্দদ্বয় এবং ফুসফুসের তিনচতূর্থাংশই!
প্রতিটি কলায় দহনের নিরন্তর খেয়োখেয়ি চলছেই
তোমার অপরিসীম অপাচিত অবজ্ঞা জ্বালিয়ে দিচ্ছে-
আমার অন্তরনগরীর বন্দর-রাস্তাঘাট-মেঠোপথগুলি।
তবুও কি আশ্চর্য নির্লজ্জ প্রেমিক কিংবা কাপুরুষ হয়ে বেঁচে আছি অক্রেয় উদ্ধত আকুতি বুকে নিয়ে।
তবুও ভোররাতের খোয়াবনামায় তোমার একচ্ছত্র বিচরণ ব্যতীত
অন্য কোন বস্তু কিংবা রিপুর অস্তিত্বমাত্র নেই।
খ্যাপাটে ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিগুলো আবেগায়িত হয়
কেবল তোমার বুকের গন্ধ নাকে এলেই।
ভালোবাসার কাছে বারংবার পরাজিত হয় বেহায়াপনায় পটু অহং আর বুলিসর্বস্ব পৌরুষিক বীর্য।
এতটাই শক্তি ভালোবাসায় কেন দিলেন স্রষ্টা?
অপাংক্তেয় প্রণয়কাব্যে একপেশে উপসংহার কেন যথারীতি বাঞ্ছনীয়?
প্রণিধানযোগ্য পরাক্রম যেদিন হয়ে উঠবে সময়
সেদিন জেনে রেখো ভালোবাসা নয়, সুমধুর সঙ্গীত নয়,
রতিদেবীদের স্তনমর্দনে উত্থিত হবে কেবলমাত্র জাগতিক শিশ্ন
স্পন্দমান নিতম্বের কাছে হার মেনে নেবে-
অনুগ্র আবেগের মেঘমালা।