বহু বছর আগে,কাছে ডেকে বলেছিলে মা
এমন কিছু করো না বাবা মানুষের কাছে
আমাকে ছোট হতে হয়।


কেউ যাতে নাক-সিটকে বলতে না পারে ?
ভালো সন্তান জন্ম দিতে পারিনি আমি
তোমার সেই কথাটি রাখতে গিয়ে
সৎ পথে দু,মুঠো ভাতের জন্য ছেরেছি স্বদেশ
খেয়েছি লাথি মানুষের কাছে।


আমাদের শ্রমের টাকায় বাড়ি হয়,গাড়ি হয়
নরতকীর আসরে ছিটানো হয়, মদ আর গাজায়
কুকুরের গায়ে তেল কাজল মাখানো হয়
আমাদের চেয়ে কুকুরের দাম অনেক বেশি।


সারা দিন শ্রম শেষে পাই না বেতন
ছয় মাস পরে এক মাস দিলো পাঁচ মাস বাকি
তাও আবার  কেরে নিয়ে গেলো বকাটে ছেলেরা
কিছু বলবার অধিকার নেই,ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি
যে পৃথিবীতে অসত্যের পধ্যে ধ্বনি
সেই পৃথিবীতে আমাকে সত্য পথে বেঁচে থাকতে বলো কেন মা ?


যে বেতন দিয়া আমাদের, মাসের বিশ দিন চলে
আর দশ দিন মানুষের কাজ থেকে ধার করে
সংবার চালাতে হয় প্রতিদিন।


অসুখ হলে ঔষধ পাবো কোথায়
টাকার অভাবে যায় না কি-না
বিছানায় শুয়ে থাকলে একদিন,পাঁচ দিনের বেতন কাটে
গরীরের উপর জুলুম আর জুলুম।


বাজারের পন্য গুলোর দিন দিন বারে দাম
আমাদের শ্রমের দাম বারে না তো মা
অসৎ মানুষের দাম, বারে দিনে দিনে
জেলে গেলে ফোনের উপর ফোন
একদিন বেড়িয়ে আসে ফুলের মালা নিয়ে উল্লাসে।


কত মানুষ গুলো বিনা অপরাধে বছরের পর বছর
জেলে পরে থাকে প্রতিদিন,এই তো আমাদের সমাজ ?
যে পৃথিবীতে অসত্যের পদ্যেধ্বনি
সেই পৃথিবীতে আমাকে সৎ পথে বেঁচে থাকতে বলো কেন মা ?


একদিন কদম আলীর কাছে যেতো না কেউ
শরীর দিয়ে গন্ধ আসে বলে
আজ তার ছাড়া চলে না সমাজ,হয় না বিচার
দেহ ব্যবসা করে টাকা জমিয়েছে সে
আজ তার কত দাম ?
তার কথায় মানুষ উঠে আর বসে
আমরা সেই সমাজে বসোবাস করি মা।


আমাদের গ্রামের জরিনাকে দেখেছো মা ?
এক মাস পরে ফিরিয়ে দিয়ে গেলো বখাটে ছেলেরা
আজও পায়নি বিচার গরীবের মেয়ে বলে
পুলিশের বড় বাবু দু,দিন রেখে দিলো ছেড়ে
বিচারের অজু হাতে
আমরা সেই দেশে বসোবাস করি না
যে পৃথিবীতে অসত্যের পদ্যেধ্বনি
সেই পৃথিবীতে আমাকে সৎ পথে বেঁচে থাকতে বলো কেন মা ?


২.৮.২০০২.আবুধাবী