ভেবেছিলাম - নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার পরই তোমার কাছে প্রেম নিবেদন করবো,  
কিন্তু যখন জানলাম, ততক্ষণে তুমি আরেক অগোছালোকে সঙ্গী করেছো, সমাজে অস্বীকৃত অবৈধ  উপায়ে।
তখন আমাকে সরস প্রেমের নীরস কবিই হতে হলো।


পাঁচ বছর আগে তোমাকে দেখেছিলেম,
শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে সদ্য শুকানো তোমার চুলের ঘ্রাণে সেদিন অন্তরীক্ষ বিমোহিত হলেও আমি হয়নি,
নাকের ঘ্রাণ নেওয়ার টিস্যুগুলো সেদিনও অপরিপক্ক।
সেদিন তুমি কাছে ছিলে, কিন্তু আরো কাছে আসার প্রবোধ তখনো আমার জন্মায়নি।


দু'বছর পরেই,
দূরে থেকেও তোমার চুলের গন্ধের সুগন্ধ পেতাম।
কাছে আসার চিন্তা তখন হলেও অবিমৃশ্যতায় কাছে আসা হয়নি।
তোমাকে এক পলক দেখতে অনেক ইচ্ছে হতো,
যদি তোমাকে দেখতাম, বিশ্বাসঘাতক হতাম।
কোনো সম্পদ- সম্পত্তির বিশ্বাসঘাতকতা নয়।
একপলক দেখার নাম করে অপলক তাকিয়ে রইতাম!


কিন্তু আজ যখন তোমাকে দেখলাম,
মেঘে ঢাকা শহরের কোনো এক প্রান্তে,
তোমার আমার অজান্তে,
মেঘ ঢাকা আকাশে আরো মেঘ ঘনীভূত হলো।
তোমার চোখের চশমাটা হয়তো তোমার চোখে দেয়ালই ছিলো,
আমাকে না দেখার দেয়াল, না দেখার খেয়াল,
কিন্তু আমি দেয়াল ভেদ করেও তোমাকে দেখেছি।
চোখ দিয়েই দেখা সম্ভব হয়েছে, হয়তো দেয়াল ডিঙ্গিয়ে যাওয়াটা সম্ভব হবে না।