তোমাকে আমি জীবন ভেবেছিলাম।
সন্তর্পণে সঁপেছিলাম হৃদয়ের বীজ-
তোমার অনুর্ভর মনের বীজতলায়।
ভাবনার জৌলুস ছিলো প্রখর তেজী
অপক্ক ভাবনা বেশিই সুঁচালো ছিলো,
শুধুই ভুল জানে পরিজন, প্রিয়জন।
আমি সর্বত্যাগি হতে রাজী ছিলাম-
মননে ত্যাগ, বিরক্তিতে কুঁচকানো
কপালের সরল রেখা, ওরা বুঝেনা,
অবুঝের সাথে বসবাস বেমানান।


আমার স্পর্ধার অগ্রে অজ্ঞতা ছিলো,
তুমিই সে মোহান্ধ স্পর্ধার আধার।
সর্বহারা হতে হতে শত সাধনায়-
একদিন লভেছি বীজতলার বুনন।
ফাঁকি, সব ফাঁকি ছিলো তোমার-
কাব্যকুঞ্জের লোভনীয় কথামালায়;
আমি পশ্চাৎগামী হয়েছি শতবার,
জড়তা নিত্যসঙ্গী,আপনজন দর্শনে-
মুখ লুকোই, না দেখার ভান করি;
অজস্রবার সতর্ক হোঁচট খেয়ে শুধুই-
ছুটেছিলাম অধরা মরিচিকার পিছু।


হৃদয় দেয়ার ঋণে আবদ্ধ বিবেক
ভুল জেনেও ভুলের সাথে মিতালী।
নিত্য আসা যাওয়া, কথোপকথন;
এখনো অনিচ্ছায় পাশাপাশি চলি,
মুক্ত হতে চেয়ে স্বেচ্ছায় বাঁধা পড়ি।
বন্ধনের সীমারেখায় স্বাধীনতা অবাধ
আসা যাওয়া চলে নিত্য, বাঁধাহীন।
এখনো আপনজন দর্শনে মুখ লুকোই
সময়ে অসময়ে তুমি কাছে এলে।
            ২২/১০ ২০১৫