কবে ফিরিব মোর গাঁয়ে-
ব্যাঁকা মেঠ-পথ ধরে হাঁটিব কবে,
শিঁশির ভেজা ঘাঁস পায়ের সাথে মিশে-
কবে হবে একাকার।
রাস্তার ধারে বরুই গাছে ঝাকুনি দিয়ে-
বকুনি শুনিবো কবে,
দলবেঁধে ঝিলের মাঝে-মাছ ধরিব কবে,
কাঁদা ছুড়াছুড়ি করে-সারা দেহে কাঁদায় ভরিব কবে।
কবে নিব এই মাঁটির গন্ধ নিশ্বাসের সাথে।


শেষ বিকালে;
কানামাছি-গোল্লাছুট-দাঁড়িযাবান্ধা; আবার খেলিব কবে,
সন্ধ্যায় দেরিতে ফিরিলে-মায়ের সেই মিষ্টি বকুনি,
আবার শুনিবো কবে।


জীবনের তাগিদে শহরের বুকে রহিয়াছি-বহুদিন,
তবুও;
বৃক্ষে ভরা আমার সেই ছোট্ট গাঁয়ের কথা-
পারিনা ভূলিতে।


হে মোর  স্রষ্টা-
এ দেহের শেষ নিশ্বাস যেন পায় মোর গাঁয়ের,
এ দেহে যেন ঢাকা থাকে আমার গাঁয়ের মাঁটি দিয়ে।