এসব মলিন মুখে ও চোখে খোদাই করা আছে
ঈশ্বরের সমান বয়সী এক ফালি করুণিমা,
আছে সভ্যতার শ্যাওলা ধরা ক্ষতচিহ্ন।
পথে-ঘাটে পড়ে থাকা ইতস্তত পাতার মতন
এসব মুখের মানচিত্রে আঁকা আছে বঞ্চণার জলছাপ,
আছে নাটকের নান্দীপাঠে
মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়া এক বিবর্তনালেখ্য,
গায়ের কঙ্কালে রোদ্দুরের মতো লেপ্টে আছে
সূর্য-দহনের এক নেপথ্য কাহিনি।
এসব মুখের মাঠে ছিন্ন-ভিন্ন মস্তকের মতো
শুয়ে আছে একেকটি ধুলির অক্ষর।


এসব চোখের তিনভাগ অশ্রু-ঋণে ভিজে আছে
পৃথিবীর একভাগ মাটি,
চোখের তারায় ফ্রেমবন্দী আছে মমির মৌনতা।
দিনের তারার মতো অদৃশ্য আলোক জ্বেলে এইসব চোখ
উপেক্ষার অন্ধকারে চেয়ে আছে সুকরুণ।


মানুষের ভুল পাঠে তবু এইসব মুখ যেন
বিক্ষিপ্ত ছেঁড়া পাতার প্রচ্ছদবিহীন ইতিহাস,
পিরামিড, টাওয়ার, তাজমহলের ধূলিময় আস্তরণে
ঢেকে থাকা অভ্রভেদী উচ্চতার পাদবিন্দু।