তুমি এসেছিলে বলে-
সাহিত্যের প্রতিটি নক্ষত্রে তোমার পদাচারণা
আমার স্মৃতিপটের সৃষ্টির অচীন মোহে-
প্রস্ফুটিত করে দোলা দেয় দিক-দিশায়
আধার নিশী আলোকিত করে,
বুনে যাওয়া সবুজ-শ্যামল বন্ধনকে..।


হে চিরস্মরণীয় সব্যসাচী,
তোমার দেহাবশানে আমারা সত্যি শোকাহত।
কী পেয়েছিলাম, কী হারালাম-
তোমার মত তোমাকে আর কোথায় খুঁজি পাব,
মমের পুতুলের পৃথিবীতে তুমি ছিলে- ‘সোনার মুকুট’
তোমায় ভোলার মত নয়....।


তুমি এসেছিলে বলে-
সৃষ্টির অমর সম্বলে তোমার অলিঙ্গন,
বেঁচে আছ প্রতিটি অক্ষর বিন্যাসের অবদানে
তোমার পদাবলীর স্বাক্ষর, ফুলে-ফলে ভরিয়ে তুলেছে
আমাদের প্রাণ গহীনের বিশুদ্ধ বিদ্যাপিঠ...।


তুমি এসেছিলে বলে-
পল্লীগাঁয়ের অবহেলিত প্রাঙ্গণ,
গবে তোমার পরশ বুলায়,
আমাকে জানিয়ে দেয়,- ‘কয়লার মাঝে বিদ্যুতের সৃষ্টি’।
আলোকিত করার প্রতিচ্ছবি...।
ফিরে ফিরে প্রাণের আকুতি, তোমারে ফিরাতে চাই
ফিরে পাব বলে... বসুধা নীরবে, তোমারি প্রতিক্ষায়..
তুমি আসবে ফিরে- শোক-সমুদ্রে পথচারী বসে রয়..
পুর্নোজন্ম হবে কবে কার, বসুধা, তোমারি কথা কয়...।