তুমি যে গোয়ালের বাধা গরু, সে দড়িতে বাধ মোরে,
কামের কাজী নয়, নাড়ার পালা-
শ্বৈত প্রবাহের চোটে বিচণ মরা , বাঁধ সে বাধনের ডোরে।
ঘুণ কীটের কিটকিটানী, সুযোগ পেলেই মারে,
মীর জাফরের বাচ্চা কী আর-সহসা এ পথ ছাড়ে।
সৃষ্টির মোহে উদাসীন, ব্যস্ত পথিক ছুটে কার দিকে,
সময় কি আর আছে তার- ‘কার দিকে কখন তাকে’।
নিজেরেই কভু পারি কি চিনতে, কেমনে যাচিব তাঁকে।
সরিষার দানায় এত যে গরম, বুঝিনি তো কভু আগে,
যৌবনে পড়ে তোমার পদচিহ্ন, লাজে শরমের ঠোঁট কাটে।
তুমি হতে হায়! পূণঃমানব গঠন, সৃষ্টা সৃজিল কোন অনুরাগে।
কোন ম্যাপেরি অংকনেতে, কেমন ভূমি সে দাগে।
অসাড় দেহরে বস্তু সাজিয়ে, এই ধরাতেই রাখা,
বাঁশের ফাড়ি আর সাদা কাপনে তোমার হুকুমে ঢাকা।
ওহীর জগতের রুহুটারে ‍তুমি, আপনে নিবে কাড়ি,
কলবের সুবিচার-অবিচার যাচিয়ে-
জ্ঞানের উপরে তোমারি ধারাধারি...।