এই তো সেদিন কবরস্থ করি দাদারে
সাত্ত্বনা ছিল বয়স হয়েছে,
যার পাকা ধান সে কেটেছে
তোমার আমার কীবা করার আছে?


অতঃপর-
ছোট্ট ভাইটারে শেষ বিদায়ের কাপনে মোড়াই
যার কন্ঠের মধুর আওয়াজে বংশের প্রতিটি প্রাণের শিহরিত হতো, জুড়াতো মমতার কোল।
এতটুকুখানি প্রদীপ নিভে গেল
অকালে; শূ্ন্য মায়ের কোল
সীমাহীন হা-হা কার, কেবা পারে শান্ত হতে..।
সেদিনের সেই দরদমাখা কন্ঠে মাতৃস্নেহের নিদারুণ আকুতি, আজ বুঝলাম। যখন হারিয়ে ফেলেছি মূল্যহীন খনির মূল্য.........।


সে কী ডাকাডাকি- বাবা কেমন আছ?
আগের মতো আর আস না কেন?
আমাদের ভূলে গেছ কি-না?
তোমার মা-বাবা কেমন আছে,
কী করছ; না করলে কী করার চিন্তা-ভাবনা..
আরও  কত কী?
সেই অশ্রুসিক্ত আদর আর নয়নের ভেসে আসা
আয়নায় স্মৃতিচারণ, হৃদয় ফিঙ্গে জাগে তরঙ্গে সাজে
আপসোসের অনুতাপে বিবেক হুংকার মারে- দু’নয়নের শুধু জল আর জল।
বুকের মাঝে স্মৃতিচারণ কথাগুলো ঘোরপাক খায়,


বেদনার তরীতে ঢেউ খেলে, কড়া নাড়ে হা-হা কার প্রতিধ্বনি; কোন দিন আর ফিরে পাব না তারে।
হারিয়ে যাওয়া পরমাত্মা- শত খূঁজেও ফিরে পাব না, কোন কালে এই জগতের কোন প্রান্তে...।
আসার সারিটা নিয়মে পাতার ঠিকই ছিল,
কিন্তু হায়! যাবার বেলাই যত এলোমেলো-
কী হতে কী হয়ে গেল।
হে পরমাত্মা মালিক-
এ কেমন তোমার খেলা, ঘরে কাটানো তাসের বেলা,
কারে রেখে কারে তুলে নাও, তুমি বুঝ তোমার লীলা।
আর ফিরে পাব না জানি- মাতৃত্বসম সে আদরের কোল, সেই চুমু আর অভিমানের চোখ, মুছে দেয়া সাত্ত্বনা, ফিরে পাব না তিন যুগের দাদার কণ্ঠে ডাকা আদরের বউ মারে...........।