অপবাদ দিয়ে অপরাধ করে,
পাল্টে নেয় তার নিজ গতি।
বুক চারিয়ে গলা ফাটিয়ে,
বিচারবিহীন ন্যায়-নীতি।
আপনা ভাবেরে বুদ্ধিমান,
ঘুণে ধরা বাঁশের খুঁটি।
কেমনে বল টিকে রে চাল,
যদিবা না ভিত্তি খাঁটি।
এমন বোঝা দিলে রে ঘাড়ে,
হেলিয়ে চলে শিশু।
কচিকাচার সনে মা- পিতাও পড়ে,
প্রেম চলে তব কিছু।
কী যুগ এলোরে ভাই,
শিশুর চেয়ে বইয়ের ব্যাগ বড়।
কত শাখা যে কততে কেজি?
ভাবতেই হই জড়সড়।
কোন রকমে খাবার তৈরি,
তব হেন সনে যাওয়া চাই।
না হলে নাকি বাচ্চার পড়া,
এমন করে গোল্লায় যাই।
এমন এক সময় ছিলরে ভাই,
বই দু'টো কাঁধে নিয়ে।
পাঠশালাতে যেতাম শুধু;
আপন গতি ফিরিয়ে।
হয়নি মোদের লেখাপড়া,
হয়েছি যেন গাধা।
শাখার নামে কোচিং চলে,
তারাই এখন দাদা।
স্কুলে নাই লেখাপড়া,
কিন্ডারগার্টেনে যাই।
এটাও চলে সেটাও চলে,
যা পারি জড়ে খাই।
একটু শুধু নাম হলে হলো,
দামি স্কুলে পড়ি।
মূল্যের খাতায় দাম যে শূন্য,
মরি বুঝি ধরপড়ি।
প্রতিদিন কাধে টাকার ঝুলি,
এ নোট সে নোট।
ভর্তি ফি আরও মাসিক বেতন,
অভাবির কাটে ঠোট।
মুখ দেখে হয় ফলাফল গণন,
যোগাযোগে কত কী সাধন?
হায়রে নোংরা ব্যবসা।
মাগো তোর কোটি কোটি টাকা,
গোল্লায় যায়- ভবিষ্যৎ দেখি ঝাপসা।
বিকাশ নামের জমানো থলি,
অন্যে গোপন হিস্যা তুলে খায়।
বড় ডিগ্রীর চেয়ে হাতুড়েই ভালো,
তাদের ফল নাকি ভালো হয়।
কোন অন্ধের স্বর্গে করি গো বাস,
আলো থেকেও আধার কালো।
দেখেও জাতি নীরব বিবেক,
ঢকের মর্শাল জ্বালো।