এখানে, মানে ব্রিজটা থেকে একটু দূরে
একটা ভাঙা কালভার্ট পাথর তলায়
জলেরা ফুরিয়ে গিয়ে চুপ হয়ে যায়!


সেটার ভেতরে গলা বাড়িয়ে
অনেকগুলো বাসি অন্ধকার গিলে,
জামার পকেট ভরেও আরো কিছু আঁধার নিয়ে
নিস্তদ্ধ দুপুরে, আমিও চুপচাপ হেঁটে যেতে থাকি।
মনে হতে থাকে শতেক বছর ধরে হেঁটেই চলেছি
বুকের ভেতরে এক ঝুড়ি অন্ধকার কাফি ঠাট নিয়ে
নিঃশব্দে তার ছেঁড়া বৃন্দাবনী সারং বাজে
আরোহণে ধৈবত হারিয়ে।


কিছুদূর মানে কতোটুকু দূর ওই ধনুক মতো ব্রিজ?
কেন ওটা ক্রমাগত আরো দূরত্বে সরে যায়?
নদীটার জলে আকাশের মেঘ নেমে থেমে থাকে
আমার আঁধারগুলো ধুয়ে দেবে বলে, আমি বলি
চাইনা আমি তোমাদের আঁধার ধোয়ার ঢং
যদি পারো আমার সারঙের ছেঁড়া তারে ধৈবত এনে দাও,
যেন আমি আরোহণে যেতে পারি ওই ক্রমশ
দূরে সরে যাওয়া ব্রিজটার কাছে!


আচ্ছা, পুলসিরাত কী ধনুক মতন অমন একটা ব্রিজ? কী জানি, কী জানি ......*
====================================
* এই কবিতাটা অন্য একটা সাইটে ছদ্মনামে পোষ্ট করা হয়েছিলো