আমার নায়িকা সে ‘সন্ধ্যার মেঘমালা’ আমি ‘মম হৃদয়রক্তরাগে’ তার ‘চরণ দিয়েছি রাঙিয়া’,
সে আমার নায়ককে বলে বারংবার, একদিন না একদিন আমি ‘তোমাকে ছুঁয়ে দেবো’
আকাশ পাতাল নক্ষত্রের দেশ গ্রাম ভূমি মরুভূমি সাইমুম ভাঙ্গিয়া,
সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড হবে থর থর কম্পিত পম্পাই নগরী শেষে অশোকের বিম্বিসা জাগিয়া
উঠিবে দেখো সেই দিন !
আমার অহংকারী অলঙ্কার তোমাকে আমি স্পর্শ করতে দেবো একদিন,
সেইদিন আমি তোমাকে ছুঁয়ে দেবো মেঘরাশি, ‘ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া’ ।
নয়বা, একদিন কোনো উত্তাল সমুদ্র সৈকতের চন্দ্রালোকে
'দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর' তোমাকে আমি স্পর্শ করতে দেবো আমার ঘন কাঠগোলাপের ঘ্রাণে ভরা উপত্যকা ..!!


আমার নায়ক, সে একজন অভিশপ্ত কুন্তি পুত্রসম জবা কুসুম সঙ্কাশ, সে প্রেম নয় রক্তজবার রক্তবর্ণে
সন্ধ্যার অগ্নিসম রঞ্জিত ওষ্ঠ অগ্রাহ্য করে ।  প্রভাতের আকাশে সে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলে,
"একদিন আমিও তোমার পায়ের পাতা ছুঁয়ে দেবো।"


জীবনের রথে তার ফোর হুইল ড্রাইভ স্নো টায়ার নির্জন ওক বনের তুষারে গেঁথে গেঁথে যায়,
তবু সে বলে, “একদিন না একদিন, আমি তোমার শতদল পদতল ছুঁয়ে দেবই দেবো, তুমি দেখে নিও”


আমার নায়ক নায়িকা একটা কথা জানেনা, যে ওদের এই ছুঁয়ে দেয়া, মানে ওদের এই
মনগড়া প্রেম পূজা এই জীবনের পরিধি পাড় হয়েও কোনোদিনই পুষ্পিত হবেনা।


আমি যে ওদের কবি,
আমিই সেটা হতে দেবো না, ‍‍‍ কোনোদিন না!
কোনোদিন না! --------------!