স্মৃতির লাটাই ঘরে এসে শোফায় বসে নিরিবিলি উলের বুনোট খোলে।
সুনসান বারান্দায় একজন কেউ তাঁর সদ্য ভেজা
পদ্মকুঁড়ির অলস ভার্সান যেন দুটো উন্মুখ কমলা কোয়া আলতো স্বাক্ষর রেখে
চলে গ্যালো স্নান ঘরে! বলে গ্যালো জলের শব্দ শেষ হলে
তুমি চলে যেওনা, বরং পর্দা খুলে লাভসিটে বসে রোদ তাড়িও।
আমরা দুজনা তারপরে একদিন বেবিলন উচ্চ উদ্যানে গিয়ে
প্রাচীন মেসোপটেমিয়া নগরী ছেনে নিরিবিলি দুটো ঘুড়ি ওড়াবো!
ভোকাট্টা করে দেবো তৃতীয় তেরছা পতঙ্ আর সেটার সব বাহারি রঙ!
তখন তো জানা ছিলোনা এই পাললিক জলের শব্দ কোনোদিন সমাপ্তি পাবেনা।


অদৃশ্য শুকনো দুটো মসৃণ কমলা ফালি পাতাল রেলে ঠিকানা না জানিয়ে
নিরুদ্দেশে চলে গেছে অজানা শহরে,
এখনো সে জাফরানি রঙ মেখে মেঘে মেঘে ভেঙে ভেঙে বৃষ্টি নামায়।
সে হলেও পারতো হতে কলাবতী ফুল টেরাকোটা টবে পাতা বাহারে।


নির্জলা জলের শব্দ নিয়ে নির্জন এই পৃথিবী ঘুরে ঘুরে যায়,
অনেক কবিতা গল্প উপন্যাস লেখা হয় পাললিক শিলাদের গায়!
জীবাশ্ম ভস্ম, মৃত তারকা ঘ্রাণ, এশীয় শামুকের খোল, জোনাকির দেহ নিষ্প্রাণ,
যশোর চিরুনি ভাঙা বালুকা বেলা লাল কাঁকড়া কণা
অণুবীক্ষণে থরে থরে স্তরে স্তরে সুচারু রেখার ব্যান্ড পাওয়া যেতে পারে
শুধুমাত্র বেবিলন নয়, এই পৃথিবীর যেকোনো উচ্চ উদ্যানে যেখানে কৌণিক
রোদের বিম রিমঝিম দোবাজ ঘুড়ি ওড়ায় নীলতম আকাশের গায় …