"ঔঁ" (অপর বানানে ওঙ্কার, 'ওঁ' শান্তি )। বা প্রণব বা ত্র্যক্ষর
একটা মাত্র অক্ষর, তারপর শান্তি, শান্তি এক প্রান্তর
বুক ভরা নিঃশ্বাস, "শান্তি" বুঝি কখনো প্রেম হয়? নাকি পূজা হয়?
নাকি "চিরদিন বিঁধে থাকা মিহি যন্ত্রণার অন্তরায়
সুনিপুণ অন্তহীন সুদীর্ঘ বেহাগ বুকে নিয়ে সেতারের তার
ভিন্ন সপ্তক ছিন্ন করে  বিশুদ্ধ ক্রন্দন?
না কি প্রতিমা বিসর্জন?"
  
অর্ধ শতেক দশকে, পুজার 'সারপ্রাইজ" উপহার
"টি-শার্টের" কলারের 'পোলো'র এম্বলেম ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে
কোনো দশমীর নির্জন রাতে (সবাই যখন গেছে কৈলাস ভাসানে)
একা একা বসে বসে,
শাড়ির পাড়ের সোনালি জরির তার খুলে নিয়ে খোঁদাই করা হল এই অক্ষর
অবিনশ্বর
হবে ভেবে, 'এই দ্যাখো আমার সমস্ত শান্তি আমি তোমাকে দিলুম'
অনভ্যাসের ফ্রেমে
সেলাই করতে গিয়ে সূক্ষ্ম ধারালো সূচে আঙ্গুলের তিন ফোঁটা
রক্ত লেগে গেলো অক্ষরটার কাছে!


"ঔঁ", ওম শান্তি, শান্তি, "ওঁ নমঃ শিবায়", ---
একটা মাত্র "ঔ" তার সাথে শিরোনামে চন্দ্রবিন্দু
এ কী ভীষণ তীব্র শাব্দিক নৈশব্দ ছিলো তাতে, তার ঝঙ্কার চন্দ্রচূড় ইন্দু
সম বাজে আজও এই দশমীর রাতে!