সেইদিন থেকে কেউ মাঝে মাঝে নদীটার ধারে
বৃক্ষ হয়ে যায়
শুকনো পাতার সাজে অবিকল কার স্বর গীটারের তার
ঝংকার যেন উড়ে আসে তার শাখা প্রশাখায়।


এই বেলা স্নানে আসে হাঁসদের দল,
নিরালা বিকাল বেলা চলে গেলে ক্যালেন্ডার ভুলে হোলি খেলে
উচ্চ শাখে পাতাদের সাথে গোধূলি বেলারা !


অজানা দূরত্বে কোনো শপিং মলে বুঝিবা মেলা বসেছে
সে অনুভব করে, ‘এই, এবারও বেকার হোলি তো একাকী চলে গেলো,
তবু তুমি এলে না তার বাকলে আগেকার কিছু নন্-হোলি দিনের মতো
রং মেখে দিতে সিঁথির সীমানা ঘষে? সেই সাময়িক বৃক্ষটা তো বসে নয় আছে দাঁড়িয়ে,
মনের ভেতরে;
তোমার স্পর্শ পেলে দেখে নিও হেমন্তের ডালে কেমন মেপল্ পাতারা হাত বাড়িয়ে
লাল হলুদ নীল মহল বানায়। না হয় আরো গোটা দুই
বছর পরে এসে দেখে যেও কেউ নেই, শুধু সেই বৃক্ষটা আছে আঁকা
তার সারা ফাঁকা কবিতা খাতায়
পাতায় পাতায়’ ……*
----------------------------------------------------
* এই কবিতাটা অন্য একটা সাইটে ছদ্মনামে লেখা হয়েছিলো