এই অর্ধ শতেক বছর পুরোনো চিলেকোঠা থেকে
আগুন টানেল দিয়ে হাবিয়া দোজখে যাওয়া যেতে পারে
এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে, অতি সুপারসনিক গতি কেটে নয়
খুব ধীরজ স্পীড তার, যেন দুরন্ত মিশ্র সারং আর মৃত ন্যাপথালিন
লীন আঁধার জড়ানো সুদীর্ঘ আলাপন, সমাপন সপ্তক নেই কোনো!


"কোরানিক" স্ক্রিপচার বলে, "এমন একটা আগুনের" গোল্লা "যার
কোনো তলা নেই, যেখানে পতিত হলে" ক্রমশ "পড়তেই থাকবে পড়তেই
থাকবে যার কোনো শেষ নেই",
মানে হলো গিয়ে এই নিম্নগামী পাতাল ট্রেনের শেষ টার্মিনাল নেই।


পুরাতন ধুলোখোর বাক্স প্যাঁটরা খুলে বেশ ব্যথিত মথিত স্নান
অনেকক্ষণ, জলস্নান নয়, অগ্নিস্নান ! একটা পাতাখোলা বই থেকে
নিঃশব্দ শব্দ করে একটা চিৎকৃত শুকনো জবা ফুলের লাশ, আহা
কেউ যদি রেখেই ছিলো তো সে আর অন্য কোনো পুষ্প পেলোনা?
শেষে কিনা রক্তজবা ? একদিন কোনোদিন আমায় না বলে ?


তাঁর লুকোনো 'আগুনে-সিঁদুর' রক্তজবা এই নরকে এখনো ভস্ম হয়ে যায়নি
কেননা সেটা তাঁর ঈশ্বর হয়তো অনির্বাণ কনফিডেন্সিয়াল সিল মেরে
লিখে রেখেছেন "এটা অবিনশ্বর, এটা শাশ্বত, এটার ধ্বংস নেই,
আল্লার বান্দা তুমি জেনে রেখো
উঁইপোকা ইঁদুর বাদুড় এই সিঁথির নাগাল পাবেনা,
কোনোদিন না, কোনোদিন না!
এমন কি হাবিয়া দোজখেও না ......"