'তুমিতো জানোনা' মেয়ে 'না জানিলে'
তবু তাহার সমস্ত গল্প কবিতা গান
শধুমাত্র তোমাকে নিয়ে!


সে একদিন
কোনো এক নিরালা গভীর ঘন তুষারের রাতে
ভেসে যাবে এই মাউমি নদীর শীতার্ত বরফ জলে,
স্থলে তুষার,
পাইনের বন বাঁধিবে শতেক শুভ্র খোঁপা তাহাদের ডালে!


তোমার মতন শাদা রেশমের অঢেল আড়ালে
ওক্ বনে রূপসী তুষার প্রাসাদ
বন্ধ দরজা তার, তবু যার কারুকার্যে
লক্ষ হাজার প্রদীপ জ্বলেও
'করুণ শঙ্খের মত' বিমর্ষ বিষাদ !
বক্ষে তার সেই নির্জন তৃষ্ণা,
চক্ষে তাহার ঘোর, খুঁজিতেছে সে
অনেক অনেক দিন তোমার বুকের সেই অন্তলীন নিদ্রার স্বাদ!


নয়বা হলেই তুমি তাহার অন্তিমে, নিজেরে দিও ঢালি,
বৈশালী প্রাচীন পালি গ্রন্থ আরহান্ত আম্রপালি
অথবা এক দুষ্প্রাপ্য সর্পমণি যাহাকে কেউ পায়নাকো কোনদিন
বাজিয়ে বীণ সহস্র কোটী অযুত নিযুত দিন !


সে চক্ষু বুজে দেখে বরফের বুকে
প্রতিটা নিগুঢ় হরফে সে লিখিতেছে একটাই নাম
সর্বস্ব তোমায় ঘিরে চন্দ্রাভা জড়িয়ে আছে তোমার প্রাণের সাথে
তাহার বন্দী প্রাণ !


বরং আবার ফিরে যাই "আপনি" সম্বোধনে, হাত না রেখে হাতে
তুষার ভেজা পাইন আর আপনার ঘ্রাণ নিয়ে সেই রাতে
সে যাবে ভেসে পূর্বকাল ইহকাল পর'কাল সুদূর যাত্রায়,
হে শুচি-আসন-না-টানা মহিলা আপনি শুনুন --- এবার বিদায়!
------------------------------------
* প্রথম স্তবকটা নির্জন স্বাক্ষরের ছায়া, তাই ক্ষমাপ্রার্থী সবাইর কাছে