বলিহারি এক ঋষিতা তুমি, অঞ্জলি দিয়েই ফের
এক মাঠ রৌদ্র নিয়ে আঁচল উড়িয়ে দাও নিজস্ব
অরণ্য ঘন গহন প্রকাশিত করো সেইসব জ্যামিতিক
রং উদ্ভাসন, আবর্তন বিবর্তন, নিকোনো উঠোন
সর্বস্ব সম্পদ বিছানো পথ উড়ে যায় মহা জাগতিক
নীহারিকা বিভাজন, সেখানে তুষার নামে, কুহকে কুহকে
নদীরা প্রবাল দ্বীপ খুঁজে হয়রাণ সাগরের বুকে !


ময়ূর দল স্নান করতে গিয়ে কেকা ধ্বনি তোলে
সুরম্য পেখম তাদের জলে ভিজে আদ্র হয়ে যায়,
তখন তুমি কোথায়,
এখনো বেদীতে নিজেকেই নিজে
অঞ্জলি দিচ্ছ বুঝি? অনেক দূরত্বে
তুলসি তলায়, হেথায় সেথায়
কেন তবে তোমার ঘ্রাণ বেয়ে সিঁড়ি নেমে যায় !


শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে আমি
ভাবি সিঁড়িই তোমার নাম
নাকি তুমি নিজেই সারি সারি শাড়িময় সিঁড়িরাশি
আসমুদ্র হিমাচল তোমার অঞ্চল,
ওপরে মন্দির, তলায় অবতল অগ্নিসম রসাতল ধাম
আমাকে তুমি পথ দেখিয়ে দাও প্লীজ
জরিপ করে নাও আমার সমস্ত সম্পত্তি করো সিজ!
তুমি কথা রাখোনি, আমিও রাখতে পারিনি সেই পরিণাম
করছি প্রণাম, নাকি প্রণামই তোমার নাম !