কি করে বলা যায় কেউ যদি ক্লাশ নাইন
আর কেউ টেন, বিঘোর ট্রেন চেন টেনে
ক্ষিরুই ক্ষেতের মাঝে থেমে যায়
ঢিলে রেলগাড়ি,
গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুরে কি কথা বলে ওরা
কলাবতী কামিজ ঘামে ভেজা, ঘ্রাণেন আড়ালে ?
দুটো চোখে কৌণিক জ্যামিতি দেখে
একজন কাগজের প্লেন ছূঁড়ে দেয় উড়ন্ত চুলে
কম্পিত দুটো কিশোর কিশোরি প্রাণ
ওরা চড়ুই হয়ে ধুলো নিয়ে খেলা করে
সেই অনুভূতি কি করে আসবে বলো আমাদের মাঝে?


তুমিতো তখন কিশোরী নও, রীতিমত একগোছা এটিকেট মাখা
ভদ্রমহিলা, প্রথমে এসেই এক শাড়ি খসখস বেনারসি
চব্বিশের গন্ধ ছড়িয়ে দিলে সিরামিক টাইলের বুকে,
ভরাট লুকোনো তুমি, চারদিক ... ভুল হলো দশদিক
ঈশাণ, অগ্নি, বায়ু, নৈঋত উর্দ্ধ অধঃ পরিধি তোমার
শাড়ির জরির মতো সোনালি উচ্চারণে
"আপনি" কাঁপতে থাকে, জোনাকির খামে অদৃশ্য
পত্রাদি ইত্যাদি লিখে
লক্ষ যোজন দূরে বৃষ্টি নামিয়ে দিয়ে
জারুলের বনে তুমি মার্জিতা পায়ে
করজোড় করে ..."নমস্কার"... বললে তুমি টুপ টাপ
শেফালী ঝড়িয়ে শীতাতপ ঘরে লোড সেডিং করিয়ে দিলে,
'এই দ্যাখো জানালাটা খোলা, বাইরে বিষম ঝড় ...'
শ্রাবণ ঘন জানালার জলে বিদ্যুৎ চমকে গেলো
উদোম ড্রেপারি আয়ত্তে এনে বেনারসি খসখস
ভেজা কাঁচে ভাঙা মুখ রক্তিম সিঁদুরিক গ্রিক আইডল সম
একটা খন্ডিত মুহূর্ত বাতাসের গায় জড়িয়ে গেলো মাধবি লতায়,
এরপর আর
শুধু মাত্র অস্ফুট 'হ্যালো' ছাড়া
কেমন করে আসবে উড়ে কাগজের প্লেন
তোমার মতো এক মহিলার কাছে?


রুম ভরা সব অতিথি বলল তোমায় "স্বাগতম"
একমাত্র একজন উধাও
যে কিনা সন্ধ্যা রিবনে জড়ানো মৃত্যু প্যাকেজ দেখেছে আজ
তার সাড়া নেই!
ফেরারি করেছো তুমি তাকে তোমার সেই
"স্বাগতম" মেহফিলে!