কোনো কোনো সন্ধ্যায়
একগোছা রজনীগন্ধা
হাতে নিয়ে, এক বৃদ্ধ
কম্পিত পায়ে
ধীর লয়ে মাঝে মাঝে
হ্রদের ধারে ওই লাল রং
নির্জন খালি পাইন কাঠের বেঞ্চটার কাছে আসে।

সে কখনো সেটাতে বসে না
হয়তো বসলে সে আর কারো
হাতে হাত না রেখে
উঠে দাঁড়াতে পারবেনা ।

হাত আসে, হাত ফের চলে যায়
নিবিড় হ্রদের জলে, সে জানে --
তাঁর হাতে হাত রাখার দিন
অতি দ্রুত সীমিত হয়ে আসছে।

তবু সে আসে,
খুব যত্নে সে
রজনীগন্ধার গুচ্ছটাকে
বেঞ্চটার বা দিকটাতে রেখে
এদিক সেদিক উইলো আর
ওক্ গাছ গুলোর দিকে
ঘুরে ফেরে তাকায়!
সে কী খুঁজছে সে সেটা নিজেই জানেনা।

সন্ধ্যা নেমে সোডিয়াম বাতি
তাঁর ছানি পড়া চোখ আলোকিত করে
সেখানে হ্রদের জল ছল ছল
ঘুরে ঘুরে গান গায়
আসমুদ্র হিমাচল।**
---------------

**এই কবিতাটা আমি আমার একজন কবিবন্ধু (যাকে আমি আমার ‘নীলকণ্ঠ গুরু’ বলি) "নির্জনে”র একটা কবিতার দুটো ছত্রকে উৎসর্গ করলাম। ছত্র দুটো হচ্ছেঃ

"কিছুই থাকেনা জানো, ধরে থাকা হাত, ছেড়ে দেওয়া হাত ....
মেঘ থেকে মেঘে চলে যায় যে রোদ্দুর" (ক্ষীরাই ৩: নির্জন)

--উনি এই নামে এই আসরে কবিতা লেখেন না! খুব সম্ভব অন্য নামে লেখেন, কিংবা লেখেন না, আমি সেটা জানিনা!