একাকী গভীর রাতে জানালার কাঁচে
নিশ্ছিদ্র আঁধারে
এক জলধি আলপিন শীর্ষ সম সূক্ষ্ম জলকণা,
ফ্রস্টেড ডাবল পেইন কাঁচে বদ্ধ আরগন্ গ্যাসের এপারে
হাত রেখে দেখি
আমার হাতের ওপারে শীতের আঁধারে
নিষ্ক্রিয় তাপে গলে যাচ্ছো
এক লক্ষ 'তুমি'!


এই না বিদায় দিলাম একটা মিনি উপন্যাসে
শেষ অধ্যায়ে
এই না হাসপাতালের বেডে বিদায় দিলাম আমি কাল তোমাকে?
সেটা লিখতে গিয়ে আমি আর তুমি
তোমার ভাষায় কতো ‘কাঁদলুম’ !


এইবার তোমার আমার আর মার্কিন কনড্রন মিক্স বুলিতে শোনো
কও দেখি এ্যাতগুলা 'তুমি' আইলা কই থাইকা ?
এমুন কইরা মাইক্রোসকোপিক পানি বিন্দু হইয়া
হায় আল্লাহ, আমি ভাবিতেছি
ভস্ম করিবার আগে তোমাকে কাহারা স্নানে লইয়া গেছে
কাহারা ধুইয়া দিয়েছে তোমার শরীর
দুই মেগাওয়াট চুল্লির বেগুনী আগুন
জ্বালিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি সম্পূর্ণ
এক সিঁথি আকাশী সিঁদুরে ফাগুন !


আমিতো তিনফুট বরফে হাঁটু গেঁথে বসে মনে মনে,
তোমার বালিকা বেলার প্রিয়
কয়টা ‘গিয়া চুল্লি’ আর কাগজি কবুতর "উড়িয়ে দিলুম" তোমার নামে
এই ধামে মোর কোনো আর বন্ধু নাই, তাই
তোমারে ভাইবা আমি করি আশনাই, খাইয়া চোলাই !
কহি অহর্নিশ
মে আল্লাহ্, ইনশাল্লাহ্, লেট হার রেস্ট ইন পিস!


আমার হাতে তোমারই দেয়া গীতবিতান
তুমিতো জানোনা মেয়ে, না জানিলে
গীতবিতান তোমার কাছে প্রেম পূজা গানের তৃণভূমি
আর আমার কাছে শুধু মাত্র
অফুরন্ত পাতা ভরা 'তুমি'। *
-----------------------


*এই লেখাটা আমি ব্ন্ধু কবিবর অসিত কুমার রায় (রক্তিম)'কে উৎসর্গ করলাম
** এই কবিতার একটা ভিন্ন ভার্সান একটা অন্য সাইটে লেখা হয়েছিলো "মাথা খারাপ হইয়া গেছেগা" শিরোনামে ।