যে কবিতার কোনো অর্থ নেই, কোনো উপদেশ নেই, ভালো মন্দ কিচ্ছু নেই, যে কবিতা ছন্নছাড়া, যে কবিতা বিভ্রান্ত, যে কবিতা ঘাসে জল দেবার স্প্রিঙ্কালের মতোই ক্ষণিক ক্ষণিক রং ধনু তুলে ফের হারিয়ে যায়, যে কবিতা একবিন্দু বেহাগ কণা বেয়ে মিশ্র পিলুর 'সম' হারিয়ে ফেলে বিষণ্ণ হয়, বলে ওঠে "দাঁড়াও আমার আঁখির আগে; যাহা-কিছু আছে সকলই ঝাঁপিয়া, ভুবন ছাপিয়া, জীবন ব্যাপিয়া দাঁড়াও হে"! যে কবিতায় এমন কোনো ফোকাস করার কারুকার্য নেই, যে কবিতা একটা প্যারাডক্স, যে কবিতা বহুবিধ এবং বিভ্রান্ত, এমন সব কবিতাকে আমি ভালবাসি, ওদেরকে আমি নাম দিয়েছি "কবিতা কবিতা"!


সেই কবিতায় আমি "চিৎসাঁতার*" দেই, চূর্ণী নদী থেকে জলঙ্গি নদী তক্, দেখি আকাশে কতোটুকু আলো আর কতো নিঃসীম মাইল মাইল অন্ধকার আছে উজানের উল্টো দিকে। আমি তখন ফিসফিস করে বলি, কেউ যেন কান পেতে আছে , "দাঁড়াও যেখানে বিরহী এ হিয়া তোমারি লাগিয়া একেলা জাগে"!! কবিতা কবিতা! যেমন ধরুন এগুলো বিভ্রান্ত বীণার সুর ধ্বনি কিনা, "এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে; – জানি না সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা। অথবা সবুজ বুঝি ঘাস? আকাশের ওপারে আকাশ .....................?"
-------------------------------------------------------
*এই আউল বাউল লেখাটায় আমি "চিৎসাঁতার" শব্দটা  আমাদের কবিতার আসরের শ্রদ্ধেয়া কবি অপরাজিতা মৌ এর "লা নিনা" কবিতা থেকে পেয়েছি। শব্দটা অবশ্য তেমন নতুন কিছুই নয়, কিন্তু সেটার প্লেসমেন্টটা সত্যি অপূর্ব, "নীল জলে চিৎসাঁতার/ ভেসে ভেসে দেখবো কতোটা আকাশ/ কতটা চন্দ্রালোক আর কতোটা জোয়ার", অবশ্য বলতেই হয়, ওনার কবিতার অর্থ আছে, সেগুলো একটুও আউল বাউল নয়। আহা, তবু যেন মনেহয় ওটা  একটা "কবিতা কবিতা" ......


তাই বলতেই হয়, আমার এই লেখাটাও একটা কবিত কবিতা, কেননা এটা জানেনা কবিতা কাহাকে বলে!