তুমি যে দাঁড়িয়ে ছিলে একদিন এক মলিন শ্যামলী যুবতী হয়ে
দেবদারু তলে, বাস ট্রাম ধুয়ো ধুলো ভার্সিটি ক্লাশ মিস,
এক রাশ কোঁকড়ানো চুল শ্যাম্পু দেখেনি কোনোদিন, এর আগে
লাইফ বয় সাবানে আর হার্ড ওয়াটার যতো ঘষো কোনো ফেনা নেই,
তাই সই, বঁধুয়া তোমার চুল গোছা রাবার ব্যান্ডে বাঁধা গ্রীষ্ম বাতাসে
শ্রাবণ ঘনিয়ে আনে, আনমনা কাকে দেখো তুমি, একা রাস্তায়
নিরাকার মেঘে?


'কি কথা তাহার সাথে? তার সাথে! আকাশের আড়ালে আকাশে',
নিদাঘ দুপুরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কোনো দুরন্ত টেডিবয়
দেয়নিকো শিস! আমি এখনো তোমার সেসব দিনের কথা ভাবি
যা কিনা আমি আগে দেখিনি কোনোদিন শুনেছি তোমার কাছেই,
তোমার কুমারী হৃদয় আর হাত ব্যাগে নীরেন চকোত্তি অবিরাম
কথা কয়ে যায় বুকের ভেতরে, লাইব্রেরিতে ফেরত দেয়া হলোনা বই
যথা সময়ে, ফুটপাথে পুরাতন ধূসর “দেশ” দশমিক দাম ম্যাগাজিন নাড়ো তুমি
টাকা নেই, লাঞ্চ স্কিপ করবে তুমি বান্ধবী মালবিকার সাথে? আহা, ওই “দেশ"
পত্রিকায় হয়তো সুনীল গাঙ্গুলি তাকিয়ে আছেন উন্মুখ হয়ে, তুমিতো জানোনি
কেউ একদিন অন্য নিরালা একটা দেশে ডাকবে তোমায় “নীরা” বলে অনেক দূরত্বে !


তুমি একাকী একাকী গুলমোহর আকাশ দেখো,
তোমার হাতব্যাগে কবিতার ওপারে টানেল কেটে
তুমি নিজেই যে একটা কবিতা কোনো এক মুগ্ধ যুবক বলবে সে কথা,
তোমার চশমার কাঁচে এক গাঙচিল এসে ভাঙা আকাশে, সে ডেকে যাবে
টিইই …টিইই …এতোদিন কোথায় ছিলে ধুলো মাখা দেবদারু তলে,
এই পৃথিবীর সব বাঁধা কেটে চলো নেমে যাই হাতে হাত ধরে
এক অলীক নীল সমুদ্র জলে!


তুমি ছিলে, তুমি আছো, শুধু একমাত্র তুমিই থাকবে চিরটা দিন তাহার নিভৃতে,
সেই একজন শ্যামলী স্বপ্ন হয়ে!