এখানে গভীর রাতে
আশ্বিন ঝুলে থাকে জানালার কাঁচে,
শৌখিন পিন গাঁথা কালো আঁধারে
বাঁধা খোঁপা খুলে গিয়ে নদী হতে চায়
সুডোল জ্যামিতি তার কন্ঠ আধারে ...


কুয়াশা ফালিতে
কি কথা লিখবে কেউ রুপালী কলমে ?
কাঁচের ওপারে
তার অপার মোহর ছেপে, মেঘদূত সনে
মনে মনে,
এই নাও গাঙ চিল তুমি তুলে নাও
বাড়িয়ে তোমার হাত
আবলুস রেখা আঁকা আশ্বিনের চাঁদ ...


কিছু মেঘলা কালো লাল জলছাপ আমি
করনিং কাঁচ থেকে কুড়িয়ে নিলাম,
যদি দিই প্রবীণ কোনো জং ধরা চুম্বন
পায়রা উড়িয়ে?
পৃথিবী থমকে গিয়ে যাবে কি ফুরিয়ে?


বরং সংগোপনে বলে দাও
এখন কোন্ বনে বনবাসে যাবো ?
কোন্ হ্রদে? কোন্ সৈকতে?
কোন গিরি শৃঙ্গ শীর্ষে গেলে
তোমার কালো সহ রুপালী
আলোকে বরণ করে পবিত্র আবর্ত পাবো !


তোমার শাড়িতে পূজা পূজা গন্ধ
নিয়ে নিবন্ধ লিখেছো তুমি? সেখানে কি
প্রেম যেতে পারে? বারেবারে তুমি
কখনো প্রেয়সী, কখনো ঈশ্বরী
বলে দাও
আমি বাজাবো কোন সুরে আমার যক্ষ
রাহু কেতু সম বাঁশের বাঁশরি?