জানালার ধারে
পাম ট্রির ঝোরা বেয়ে এক পশলা বৃষ্টি এনেছো ভেবে
এখনো চায়ের কাপে মৃদু চামচ দিয়ে
দরজায় রিং টোন বাজিয়ে আছো দাঁড়িয়ে !
অন্যদের ঘরকন্নার চাপে
সকালে স্নান করা হয়নি তোমার। এলোমেলো চুলে
ভেবেছো দারুচিনি এলাচ দেয়া
দার্জিলিং টি’র ঘ্রাণে হিমালয় হিমবাহ ভেঙে
একজন খিড়কি খুলে দেবে !
এদিকে
বাড়ীর উল্টোদিকে মৃত সব মাধবী লতার ঝোঁপে,
এখনো কিছু পাথুরে আঁধার আছে লুকিয়ে !


পায়েলিয়া, তোমাকে কাপ হাতে
করিডোরে রেখেছে দাঁড় করিয়ে অনেক অনেক দিন
এই গল্প লেখকতো ভাবে জানিনা জানিনা
কোথায় পেতেছো তুমি তোমার প্রতিরাতে ঘুমের বিছানা!
আসানসোল থেকে নেত্রকোণা পেরিয়ে
আকাশটা ছিঁড়ে আছে! একতলা, দুই তলা, তিন তলা
ঘরহীন ঘরকন্না নিয়ে, তুমিতো জানোনা এই লেখকের
মন কেন উন্মন; ইচ্ছে হলেই সে তোমাকে চন্দ্রাভায়
ঢেকে দিতে পারে, তবু সে দেবেনা, সে দেবেনা দেবেনা
কিছুতেই না;


সে ও তো তোমার মতন মেঘ অন্বেষণ করে
রয়েছে দাঁড়িয়ে,
মউমি নদীটার বুকটাকে খুলে একমুঠো নরম জল তুলে
যদি দেখে জল নয় কেবলই তুষার,
তাতে যেন আর্কটিক সামুদ্রিক ঘ্রাণ
তখনি এক সিলভার কার্প ঝাঁপ দিয়ে ওঠে জলের শীতল ছেড়ে
‘এই, তুমি ব্যর্থ লেখক, দাও ফিরিয়ে তাঁর রূপসী নোলক
জিওল রেখেছো সেটা বহুদিন ধরে
একটিও শ্লোক না পড়ে
এবার সে সেটা ফেরত চেয়েছে আমাকে পাঠিয়ে’


তাই, পায়েলিয়া তুমি থেকো দাঁড়িয়ে দরজার এপারে ওপারে …
কিচ্ছু প্রত্যাশা না করে ...*
---------------------------------------------------
* অন্য একটা সাইটে একটি অসম্পূর্ণ গল্পের শিরোনাম ছিলো - "এক তলা, দুই তলা, তিন তলা, পায়েলের ঝর্ণা তলা" । সেটার নায়িকাকে স্মরণ করে ...