একদিন
পায়ে পায়ে হেঁটে ধাতব সিঁড়ি বেয়ে, অন্য দিকে চেয়ে
পরে আসবো বলে নিরুপমা চলে গেলো বিদায়ের তরে ...
বেগুনী নাকি ঘন নীলাম্বরী শাড়ি ওর জলসিঁড়ি বিঘোর,
একটা অতিকায় গম্বুজাকৃতি রাক্ষস যেন প্লেনের ভেতরে !


সেদিন থেকে অনেক দূরত্বে একজন অন্য মনে
জলের পাইপ বেয়ে ছাদে ওঠা বোগেনভিলার বনে
ঝুলে থাকে মেঘালো কার্নিশে, পুরাতন চন্দন বার্নিশে
অহর্নিশ গন্ধবিধুর ধূপ জ্বলে যায়, বাতাসেরা নির্জন
অনেক লক্ষ কোটি “কী কথা তার সাথে”র দল ছলছল, কোনো
কথা না বলে, বেদনা মাখা পাতাদের জাল বুনে, রাতে রাতে
বহু কথা বলে যায় অশরীরী নিরুর সাথে!


এই মেয়ে? শ্রাবণের গান কন্ঠে তোমার কদমের
ঘ্রাণ আর ছড়াবে না বুঝি কোনো কারনে
অকারনে বেদনাবিধুর তাল তমালহীন উইলো ঝালরে ?


অতি পুরাতন
পাতা খসা এ্যালবামে ঘন কেশরাশি মেঘ এঁকে যায় ...
'কতদিন কতদিন দেখিনি তোমায়', আমিতো প্রতীক্ষায় আছি।
আমি শুধু ভাবি, কেবল বন্ধু হয়ে, জানালার ধারে
এই “পরে”টা আসবে কবে? নাকি কবরের অপার এপারে?
বিলীন
সেই দিন, সেই দিন, কোনো একদিন, ... ... *
----------------------------------------------
* ঋণ স্বীকারঃ একজন "পরে-আসবো" ছদ্মনামের কবির কাছে ...