হঠাৎ যদি দেখা হয়ে যায় তাহলে কি সংলাপ চাইবে তুমি কহো
বহমান জাহাজে যতো রোদ কতো সমুদ্র ছেনে সুখ এনে দিয়েছি কারো
বহুতল ভাঁজে ? মোমাভ্র মিনারে তার প্রদীপ জ্বালিয়ে বলি আল্লাহু,
তোমায় সালাম, এমনতর জাহাজে তুমি পরিব্রাজক বানালে আমায় ?


কি সংলাপে ঢেউ তুলবে বলো তোমার নদীতে, ধীরজ অন্তহীন এই জাহাজে আমি দেখি
মেঘের আড়ালে আরো এক মেঘ আছে এক নিরালায়, নীল ঘন সরোবর বুকে নিয়ে
অন্যমনে মনোলগ ফিসফিস অহর্নিশ…সমুদ্রের ওপারে আরো এক সমুদ্র ছিলো
দারুচিনি তমসায় বিবিধ মশলার নেশালো ঘ্রাণ পদ্মসদৃশ মণিপুরচক্রে ...বক্র হয়েছে কারো ধমনী একদিন
ক্রুশবিদ্ধ, সুষম নারিকেল গাছে ঝুলে থাকা তোমার দেয়ালে সব গুলমোহর সংলাপ
সম্পন্ন করে দাও আজ যদি পারো, এবার তোমার প্রেসার কুকার বাজাচ্ছে শিস, উন্মুক্ত
করো ওকে, মুক্তি দাও যেন এই সংলাপ "কোনো পার্থিব পুষ্প আর হাত ছুঁয়ে
অপার্থিব কবরীর চন্দ্রালোকে" না পৌঁছে "আর কোনোদিন!"*
----------------------------
ঋণ স্বীকারঃ এই লেখার শেষ দুটো ছত্রে রয়েছে মুক্তমঞ্চ নামে একটা সাইটে একটি লেখার একটি ছত্র, লেখাটার নাম "ব্রেকআপ"-- কবির নাম "জিরো"। মূল ছত্রটা "তেমন কোনো পার্থিব পুষ্প আর এই হাত ছুঁয়ে সে অপার্থিব কবরীর চন্দ্রালোকে পৌঁছবেনা আর কোনোদিন।"...বিস্ময়কর, আমার বুকে গেঁথে আছে ...