যে দিকে তাকাই দেখি সব কিছু আছে কেবল তুমি নেই,
তুমি চলে গেলে,
ডালাস হয়ে নিউ ইয়র্ক জেএফকে বিমান বন্দর
তারপর দীর্ঘ ফ্লাইট লন্ডন হিথ্রো হয়ে সারা রাত, কলকাতা কলকাতা
আল্ট্রা লো ফ্রিকোয়েন্সিতে
চার ইঞ্জিন জেটের ভারি শব্দের সাইন কার্ভ ওয়েভ,


বুকের ভেতর ঢুকে যায়, অতি ভারী সপ্তকে --- অবিরাম দ্রিম দ্রিম দ্রিম, শেষ নেই এই শব্দের,
কানে কানে কথা বলে, "বছর খানিক আগে তোকে আমি
এমন একটা জায়গায় রোপন করে দিয়েছিলাম,
যাতে তোর কল্পতরুর মতো মনটা ফুটে উঠতে পারে,
যেন বুঝতে পারে, গান গল্প কবিতা ছাড়া আরেকটা জীবন আছে,
কবিতা, আকাশ, শ্রাবণ, সমুদ্র ভালোবাসা ছাড়া জীবনের আরো একটা
মাত্রা আছে – যেটা তুই তোর জিয়োলজি ক্লাশে পড়িস নি কখনো


সেটাকে তুই
ক্রিস্টাল গ্লাসের মতো ভেঙ্গে চুরে তছনছ বিধ্বস্ত করে দিলি,
জীবনটা কি তোর ২৩ বছরের মনের মতো কবিতা ভরা একটা ছন্দময় স্বপ্ন?
খুব সুন্দর একটা দারিদ্রহীন জীবন দেবার জন্য
আমি তোকে অন্য একটা স্বপ্নিল দেশে নিয়ে এসেছিলাম
কিন্তু সেটাকে তুই অগ্রাহ্য করলি
তাই, তুই নিজে বিক্ষত হলি, আরো কতজনকে ক্ষত বিক্ষত করলি,


চল্ আজ তোর এই “নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে”
আকাশের ওপারে আকাশ দিয়ে, মেঘের ওপরে মেঘ দিয়ে
তোকে আবার আমি নিরুদ্দেশে নিয়ে যাই,
কলকাতায় নিজের ঘরটা তোর নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে এখন থেকে!
দেখে নিস। কিচ্ছু পাবিনা তুই, দেখে নিস্, তুই আর যাই কিছু পাস না কেন,
কিন্তু তুই আজ যেটা চাস সেটা তুই কোনোদিন পাবিনা, কোনোদিন না!”
-----------------


তোমাকে ছাড়া এক একটা দিন যেন শতেক বছর
তুমি এখন কোথায়? কোন দেশে, কোন নিরুদ্দেশে?