একদিন
সমস্ত দিন শেষ হলে
উত্তর অঞ্চলে
এমন একটা জায়গায় তোমার কাঙ্ক্ষিত
আমার (ঊহ্যঃ মৃত) শরীরটাকে নিয়ে যেয়ো তুমি
যেখানে সমস্ত সব জনপদ
সীমানা ছাড়িয়ে একা বসে আছে
নিবিড় কোনো হ্রদ !


ধরে নাও সেটা হতে পারে
বৈকাল, কাস্পিয়ান, লেক হাডসন বা মানস সরোবর
বা অমন যে কোনো একটা হ্রদ
যেখানে শতদ্রু সিন্ধু ব্রহ্মপুত্র মতো গিরিবর্ত্ম
বেয়ে নেমে আসে জিমা ইয়ংজং সম হিমবাহ
অরুণাচল, কারাকোরাম, যেখানে কাল মাহাকাল
ইহকাল পরকাল সর্বকাল মর্ত পাতাল ভরে
থেমে গিয়ে গলে যায় বহুদূর সমুদ্রের তরে …
সে হ্রদের শীতল স্বচ্ছ জল করতল ভরে এনে দিও,
সিক্তা করে দিও তুমি তৃষ্ণাকে আমার।
তোমার ভাষায় সেই নেশেলি পদ্মকলি নীপবন তপোবন ঠোঁট দুটো হা করিয়ে
আমার জামার সব তামাটে হুক আর ক্লিপগুলো খুলে সেই জল ঢেলে দিও !


এই পৃথিবীর সমস্ত বিকেল যখন শেষ হয়ে গিয়ে
নির্জন গোধূলি নামে পৃথিবীর বুকে,
যখন নদীদের বাঁকে
বুমেরাং হয়ে যায় তোমার
সব ফিরিয়ে দেয়া কবিতার সেরিনাড আর
আমার না-বলা সব কথাগুলো খুঁটে
ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় ঈগলেরা গহীন পত্রহীন শাল্মলী শাখে !


স্বর্ণ শিখরে, তুষারে তুষারে ঢেকে যায় বেগুনী রডোডেনড্রন
তোমার তালের পাতায় সহস্র গল্প সব অসমাপ্ত পুঁথির কথন
যখন সমাপ্তি পায়
তখন আধুনিক কোনো সুদর্শন চক্র দিয়ে তুমি কোরো নিরাভরণ
তোমার কল্পিত সেই সমৃদ্ধ আমার মৃতা অমৃত নিপুণ শরীর !
দেখবে, তার বুক চিরে লতায় পাতায় শিরা উপশিরায়
শূন্য মণি কোঠায়, সীমাবদ্ধ সব
তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে! যা কিনা তোমার ভেতরে ঢুকে
প্রতীক্ষার নদী খুঁজে নেবে,
জন্ম মরণ জনম জনম !


-------------------------
* এই কবিতাটাও অন্য একটা সাইটে সায়নী মিত্র ছদ্মনামে লেখা হয়েছিলো