ধূলির নিশাণ উড়িয়ে এলো বহুদিনের পর,
মুখোশে মুখ লুকিয়ে রাখা অবাক যাদুকর।
সূর্য তখন মাথার উপর, উষ্ণ বাতাস বয়,
দ্বিপ্রহরে ঘুমিয়ে ছিলো নিথর লোকালয়।
দরজা খুলে বেরিয়ে আসা ছেলে মেয়ের দল,
প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে থাকে নিরব অবিচল।
নারী পুরুষ বেরিয়ে এলো শূন্য করে ঘর,
হাজার বছর পরে এলো অবাক যাদুকর।


সাদা ঘোড়ার পিঠের উপর লাগাম টেনে রয়,
মেরুন রঙের পোষাক পরা- নিছক জ্যোতির্ময়!
কড়াল ধাতুর বর্মাবৃত অঙ্গ অলংঙ্কার,
পৃষ্ঠদেশে লম্বা ফলার তীক্ষ্ণ তলোয়ার।
ইন্দ্রজালে ভেলকীবাজির হাতছানি দেয় ডাক,
সপ্ত সাগর মুক্তো সেঁচে আবার পথের বাঁক।
গুপ্ত রীতির বিদ্যা বোঝাই দক্ষ কারিগর,
নতুন রূপে চিরচেনা অবাক যাদুকর।


একক সময় থমকে থেকে ভাঙছে কোলাহল,
সূত্র ধরে কলের পুতুল নাচায় অনর্গল।
বাক্স ভরা রহস্য তার গোপন অতিশয়,
ছায়ার শরীর মিশবে আবার কায়াতে নিশ্চয়।
বিভ্রমে সব দৃষ্টি যতো, তীব্র করে স্বর,
পাতাল ফুঁড়ে মাতাল করা বজ্রনাদের ঝড়।
কুহক ধারক রাশির জাতক; এবং অতঃপর...
হঠাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো অবাক যাদুকর।