অবশেষে তপস্বিনীর হইলো পরাজয়
অশরীরীর মতো চোখে চকিত বিস্ময়
অশ্রুসজল দৃষ্টিখানি আলোক দ্যুতিময়
অনুরোধে চাইলো ত্রাহি হস্ত সমুদয়।

কীর্তি এমন যুগান্তরী, দীপ্ত তেজী মন
রূপালী পালঙ্কে করে অঘোরে শয়ন
রাজর্ষিনীর মতো জীবন করিছে যাপন
কৃতজ্ঞতা করি তাহার নিমিত্তে জ্ঞাপন।

নিদ্রা হতে জাগরণে জনম করে পার
দুঃসাহসী কণ্ঠে ঝরায় চরম অহংকার
দ্বিখণ্ডিত করার মতো তর্জনীতে ধার
তাহার হাতে হইলো মরণ সহস্রাধিকবার।

বিহঙ্গিনী দাপিয়া বেড়ায় অনন্ত অম্বর
জাজ্বল্যমান অগ্নি দ্বারা পোড়ায় বাড়িঘর
ফুঁৎকারে সে দগ্ধ করে সমস্ত অন্তর
বিক্ষোভে সেই রূপ দেখিবে- এমন ভয়ঙ্কর।

যুদ্ধে প্রবল প্রমত্তা সে, ধ্বংসে করে বাস
রণাঙ্গনে পান করে সে অমৃত নির্যাস
শীতল হইয়া ক্ষান্ত দিলো এতদিনের ত্রাস
পরাজয়ে তৃপ্তি আনে ব্যথিত নিঃশ্বাস।

ব্যাধের মতো ধনুক চালাই, প্রশ্নে মারি বাণ
প্রেমাঘাতে কাতর দেবী, ব্যথায় মুহ্যমান
বশীকরণ মন্ত্রপাঠে সফল অভিযান
আজি এমন ভয়াল নারীর কণ্ঠে প্রেমের গান!

অন্ধকারে মন্দাকিনীর আবছা অবয়ব
হৃদয়জুড়ে প্রণয় কাঁপন মাতাল কলরব
পৃথিবী উচ্ছন্নে দিলাম তুচ্ছ করি সব
ক্ষুণ্ণ এ সংসারে রচি বিজয়া উৎসব।