মেয়েটির ডাকনাম ছিল নিবেদিতা।
একদিন পরির সাজে সজ্জিত হয়ে
একটি প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ দিয়ে
সে আমায় প্রেম নিবেদন করেছিল।
তার সেই ভালোবাসামাখা নিবেদন
পৃথিবির কেউই হয়তো ফেলবে না।
যার চোখে সমুদ্রের গভিরতা থাকে
তার নিবেদন হয়তো ফেলা যায় না।
সমুদ্রের জলে ডুবলে নাকি মানুষ
অক্সিজেনের অভাব অনুভব করে।
নিবেদিতার চোখের পানে তাকালেই
আমি ডুবে যেতাম ওচোখের গভিরে,
কিন্তু, সেখানে একটিবারের জন্যও
অক্সিজেনের প্রয়োজনবোধ হয়নি।
ওচোখ ছিল প্রাণশক্তিতে ভরপুর,
বিশ্বাস আর ভালোবাসায় ভরপুর।
নিবেদিতা নিবেদন করেছিল তার
ওষ্ঠ ও অধরে লুকায়িত ভালোবাসা।
সেখানে কোন প্রলেপ ছিলনা রঙের
ছিল গোলাপ পাপড়িসম কোমলতা,
ছিল স্নিগ্ধতা, মুগ্ধতা আর অনুভব,
ছিল শর্তহিন ভালোবাসার আকুতি।
নিবেদিতা নিবেদন করেছিল তার
বন্ধনহিন কেশরাশির মিষ্টি ঘ্রাণ।
যে ঘ্রাণে বিমোহিত হয় এ বসুন্ধরা
সময় হারায় তার চলার প্রবাহ।
নিবেদিতা নিবেদন করেছিল তার
শরিরের কোমল স্পর্শ আর উষ্নতা।
যেখানে ছিল অনুভুতির বিনিময়,
ছিল নিঃশব্দ কথোপকথনের ভাষা।
নিবেদিতা নিবেদন করেছিল তার
পবিত্র হৃদয় যেখানে স্বচ্ছতা ছিল,
জলসম টলটলে ভালোবাসা ছিল
ছিল চিরদিন ভালোবাসার প্রত্যয়।
নিবেদিতা নিবেদন করেছিল তাকে
যতটুকু চেয়েছিলাম হৃদয় থেকে
তার চাইতেও অনেকখানি অধিক
যতখানি পেলে মন পরিপুর্ণ হয়।